জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। সবুজ-মেরুন জনতারা জানেন ও মানেন। ১৯৯৭ সালে বলিভিয়াকে কোপা আমেরিকা রানার্স করানো, পোজোব্ল্যাংকোর ৬৬ বছরের কোচের ঝুলিতে রয়েছে দু'টি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ট্রফি (২০১৪, ২০১৯-২০)।  গতবছর ১৬ জানুয়ারি এই হাবাসকেই টেকনিক্য়াল ডিরেক্টর হিসেবে দলে ফিরিয়ে এনেছিল মোহনবাগান। চলতি বছর জানুয়ারিতে জুয়ান ফেরান্দোকে (Juan Ferrando) সরিয়ে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার টিম ফের হাবাসকেই বসান হটসিটে। মেরিনার্সদের সঙ্গে নতুন ইনিংস শুরু করছেন হাবাস। প্রথম পরীক্ষাতেই প্রশ্নপত্র বেশ কঠিন হতে চলেছে। কারণ তাঁর সামনে কার্লেস কুয়াদ্রাতের ((Carles Cuadrat) সুপার কাপ চ্য়াম্পিয়ন (Kalinga Super Cup 2024) ইস্টবেঙ্গল এফসি। আগামিকাল ফের হাইভোল্টেজ মহারণ। কলকাতা ডার্বিতে (Kolkata Derby) মুখোমুখি হেভিওয়েট দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (East Bengal vs Mohun Bagan)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Kolkata Derby: 'ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা এবার চোখে চোখ রেখে...!' খেলার আগেই মশাল জ্বালালেন হেডমাস্টার


শুক্রবার অর্থাৎ আজ, বিকেল চারটে নাগাদ যুবভারতীর প্রেস কনফারেন্স রুমে নিয়মমাফিক প্রাক ম্য়াচ সাংবাদিক বৈঠক হয়ে গেল। শুরুতেই ছিলেন লাল-হলুদ কোচ কুয়াদ্রাত ও তাঁর দলের অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা। ক্লেটনরা আসন ছাড়ার পর আসেন হাবাস ও তাঁর দলের ক্য়াপ্টেন শুভাশিস বসু। সাংবাদিকদের 'ওয়েলকাম ব্য়াক' ধ্বনিই তোলা ছিল দুঁদে কোচের জন্য়, হাবাস সাংবাদিক বৈঠক শুরু করেই বলেন, 'খুব ভালো লাগছে এখানে আসতে পেরে।' বড় ম্য়াচের চাপ বিন্দুমাত্র ছিল না তাঁর মুখে। উল্টে অনেক বেশি রিল্য়াক্সড দেখাচ্ছিল হাবাসকে। এই স্প্যানিশ কোচের ডার্বি ভাগ্য কিন্তু দুরন্ত। একবার পরিসংখ্য়ান মনে করিয়ে দেওয়া যাক। ২০২০-২১ মরসুমে মোহনবাগানের (এটিকে মোহনবাগান নাম ছিল তখন) দলের কোচ ছিলেন হাবাস। সেবার ইস্টবেঙ্গলকে দু'বারই হারিয়েছিল মোহনবাগান। প্রথম সাক্ষাতে ৩-১ গোলে এবং পরে ২-০ গোলে। হাবাস হাসতে হাসতেই হুঙ্কার ছাড়লেন। তিনি ঝলকে স্মৃতিচারণা করে বললেন, 'আপনাদের মনে করিয়ে দিই আমি কিন্তু ডার্বিতে কখনও হারিনি। এবার আমাদের দল ভালো হয়েছে। তবে স্কোরলাইন নিয়ে ভাবিত নই। ভালো খেলতে হবে। ইস্টবেঙ্গলও ভালো খেলছে। সুপার কাপ জিতেছে। ওদের শুভেচ্ছা। ওদের কোচও দারুণ। ওরাও জেতার জন্য়ই মাঠে নামবে। আমরাও তাই। কলকাতা ডার্বি জয়ের মাহাত্ম্য আমি জানি।' হাবাস এদিন স্বীকারই করে নিলেন যে, মরসুমের মাঝপথে দলের দায়িত্ব নেওয়া রীতিমতো কঠিন। তবে তিনি আশাবাদী। 


মোহনবাগানকে আইএসএল ও ডুরান্ড জেতানো কোচ ফেরান্দোর প্রশংসা করতে ভুললেন না হাবাস। তিনি বলেন, 'ফেরান্দো ভালো কাজ করেছে। গতবারের তুলনায় এবার মোহনবাগানের দল ভালো হয়েছে। জাতীয় দলের হয়ে অনেকেই ভালো পারফর্ম করেছে। আর হ্য়াঁ, ডার্বিতে কেউ ফেভারিট নয়। কঠিন হয় ম্য়াচ। ডার্বির শুরুটা এবং শেষটা অনেক সময় আলাদা হয়ে যায়।' ইগর স্টিমাচের অধীনে জাতীয় দলে খেলা সাত ফুটবলারই ফিরে এসেছেন মোহনবাগানে। তবে আলোচনায় রয়েছে তিনটি নাম আশিস রাই, আনোয়ার আলি ও সাহাল আবদুল সামাদ। হাবাস জানিয়ে দিলেন যে, আনোয়ার ও সাহাল ১০০ শতাংশ ফিট। তবে আশিসের এখনও চোট রয়েছে। তবে এটা বলে দেওয়া যায় যে, ডার্বিতে অনিরুদ্ধ থাপার সঙ্গে মনবীর সিং থাকতে চলেছেন প্রথম একাদশে। আনোয়ার আলিও ফিরছেন। 


আরও পড়ুন: Football: 'খেলা শেষে দুই মহিলাকে হোটেলে ডেকে...'! মহাবিপাকে কাতার কাঁপানো জাপানি নক্ষত্র


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)