নিজস্ব প্রতিবেদন: একটা সময়ে মনে হচ্ছিল, ৩০০ রান বোধহয় পেরিয়ে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ রইল বাংলাদেশেই। পরপর উইকেট হারিয়ে ২২২ রানে থমকে গেল টাইগাররা। বিনা উইকেটে ১২০ রান তোলার পরও সুযোগ তুলতে পারলেন না মুশফিকুররা। ফাইনালে জেতার জন্য ভারতের দরকার ২২৩। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চলতি এশিয়া কাপে প্রতিটি ম্যাচেই নিয়ম করে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু ফাইনালে একেবারে অন্যরকম শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গে নেমেছিলেন নীচের সারির মেহেদি হাসান। শুরু থেকেই ধ্বংসাত্নক ব্যাটিং করলেন লিটন। বুমরা ও ভুবনেশ্বর কুমারকে বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরা খেলতে হিমশিম খেয়েছেন। সেখানে লিটনের মারের চোটে স্পিনার আনতে বাধ্য হলেন রোহিত শর্মা। তাতেও থামলেন না লিটন। মাত্র ৩২ বলে এল অর্ধ শতরান। অন্যদিকে ধীরেসুস্থে খেলে চলেছেন মেহেদি হাসান। লিটন-মেহেদি জুটিতে উঠল ১২০ রান। ৫৯ রানে ৩২ করে আউট হলেন মেহেদি। প্রথম ব্রেক থ্রু দিলেন কেদার যাদব। যদিও ওই শটটি খেলার দরকার ছিল না। এরপর আসা-যাওয়া। ওপেনিংয়ের ভাল শুরুর মঞ্চকে কাজে লাগাতে পারলেন না মুশফিকুররা। একে একে ফিরলেন ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মহম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহরা। অন্যদিকে তখনও একা কুম্ভ লিটন। তাঁর ব্যাট থেকে এল ঝকঝকে শতরান। ১১৭ বলে ১২১ করলেন এই বাঙালি ব্যাটসম্যান। এটি তাঁর কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। 


শেষের দিকে সৌম্য ও লিটনের জুটিতে এল ৩৭ রান। একটা সময়ে ওভার পিছু রানরেট ছিল ছয়ের বেশি। সেখান থেকে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের আত্মহত্যায় রান রেটে সাড়ে চারের নীচে নেমে গেল। শেষের দিকে শট রানেই দলকে টেনে নিয়ে গেলেন ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের ইনিংসে তিনটি রানআউট। ওপেনিংয়ে ওভার পিছু ৬ রান ওঠার পরও বাংলাদেশের মিডলঅর্ডারের একটু ধরে খেলা উচিত ছিল। কিন্তু অবিবেচকের মতো শট খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ইমরুল, মুশফিকরা। তার খেসারতও দিতে হল। ২২২ রানে অলআউট হল বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেনরা শুরুতেই ভারতের কয়েকটা উইকেট ফেলে দিতে পারলে ম্যাচ জমে উঠবে। দুবাইয়ে ২২২ লড়াই দেওয়ার মতো স্কোর। তবে রান আটকে ম্যাচ জেতা যাবে না। শুরুতেই কয়েকটা উইকেট তুলতে হবে মাশরাফিদের।


 


ভারতের একাদশ-  রোহিত শর্মা, শিখর ধবন, অম্বানি রায়াডু, দীনেশ কার্তিক, মহেন্দ্র সিং ধোনি, কেদার যাদব, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চহল, রবীন্দ্র জাডেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রীত বুমরা। 


বাংলাদেশ একাদশ- লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মহম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তাজা, নাজমুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।


আরও পড়ুন- পেট্রোল-ডিজেলের খরচ কমাতে গাড়ির ইঞ্জিন বদলের পরিকল্পনা মোদী সরকারের