নিজস্ব প্রতিবেদন : এই নিয়ে সাতবার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হল ভারতীয় দল। বাংলাদেশকে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে হারিয়ে এশিয়া কাপ জিতেছে ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দল। আর ফাইনালে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে যিনি ম্যাচের সেরা হয়েছেন তাঁর নাম অথর্ব আঙ্কোলেকর। বাংলাদেশকে মাত্র পাঁচ রানে হারানোর পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। মাত্র ১০৬ রান করেছিল ভারতীয় দল। এত কম রানে ম্যাচ জেতার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন ভারতীয় সমর্থকরা। কিন্তু ভারতের বোলিং ইউনিট বুঝিয়ে দিয়েছে, কম রানেও লড়াই করে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে তারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  IND vs SA: আজ শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ; কখন, কোথায় দেখবেন Live; জেনে নিন


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অথর্ব। ছেলে খেলছে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে। এদিকে, বাসের টিকিট কাটতে কাটতে ছেলের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার খবর শুনে চোখ ভিজছে মায়ের। অথর্বের ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার লড়াই ছিল কঠিন। নয় বছর আগে বাবাকে হারিয়েছিলেন তিনি। তার পর মা বৈদেহীর কাঁধে এসে পড়ে সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব। দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন একার লড়াই। মুম্বইয়ের সরকারী বাসের কন্ডাক্টরের চাকরি পান তিনি। তার পর শুরু হয় সংসার সংগ্রাম। অথর্বের ছোট ভাইও অনূর্ধ্ব ১৪ দলের হয়ে খেলে। 



অথর্বের মা বলছিলেন, ''বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের দিন আমার সকাল সকাল ডিউটি ছিল। তাই প্রথম থেকে ম্যাচ দেখতে পারিনি। তবে অথর্বের বন্ধুদের থেকে ম্যাচের স্কোর জেনে নিচ্ছিলাম। এর পর ডিউটি শেষ হওয়ার পরই বাড়ি ফিরে টিভির সামনে বসে পড়ি। মাত্র ১০৭ রান পুঁজি নিয়ে ম্যাচটা শেষমেশ আমরা জিতব কি না বুঝতে পারছিলাম না। এরই মধ্যে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন আকবর আলি আউট হল। ভাবলাম, এবার ম্যাচটা জিততে পারি। কারণ ও আগের ম্যাচে ৯৮ রান করেছিল। তার পর বাংলাদেশ ১০০ রান পার করে দিল। তখন টেনশন হচ্ছিল খুব। এর পর অথর্ব শেষ উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচটা জেতাল। আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।'' তিনি আরও বললেন, ''একটা সময় ১৫ কিমি দূরে বাসে চেপে প্র্যাকটিসে যেতে হত অথর্বকে। তখন ও অনেক সময় প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে পড়ত। ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথা বলত। আমি তখন ওকে বলতাম, ভাল করে ক্রিকেট খেল আর একটা গাড়ি কিনে ফেল। তার পর ওই গাড়িতে আমাকেও চাপাবে।'' প্রসঙ্গত, নয় বছর আগে একবার এক প্র্যাকটিস ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকরকেও আউট করেছিলেন অথর্ব।