সুখেন্দু সরকার


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 ''২০১৮ সালেও কলকাতা থেকে একটাই দল আইএসএলে খেলবে, তা হল এটিকে," ২০১৭-১৮ মরসুমে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সূচনার আগে জোর দিয়ে বলেছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। আর বাস্তবে হয়েছেও তাই। নিয়ম মেনে এবারও আইএসএলে নেই কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। তবে শোনা যাচ্ছে আগামী মরসুমে দুই প্রধানের আইএসএলে খেলতে অার কোনও বাধা থাকছে না। এর পাশাপাশি ময়দানের একাংশের ধারণা, মোহন-ইস্টের আইএসএল খেলার ব্যাপারটা অনেকটাই নির্ভর করছে এটিকে’র শীর্ষ কর্তার ওপরেই । কারণ এবারও তিনি ‘ওয়ান সিটি ,ওয়ান টিম’ তত্ত্ব সামনে হাজির করবেন না তো!! তবে আয়োজকদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। একইসঙ্গে বাস্তব অনুধাবন করে দুই প্রধানকে ‘দাদা’ এবং নিজেদের ‘শিশু’ বললেন।


বৃহস্পতিবার এটিকের নতুন জার্সি উন্মোচনের পর সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেন, “একটা কথা আমি খুব পরিষ্কারভাবে বলছি , মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল আমাদের কাছে দাদার মতো। আর আমরা হলাম বাচ্চা। গত বছর এই কথাটা বলেছিলাম। এবারও সেটাই বলছি। তবে ‘দাদা’ ( সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) অবশ্যই আমাদের সঙ্গে আছেন। আমরা সবসময় সুস্থ প্রতিযোগিতা চাই। তবে একই সঙ্গে এটাও জানিয়ে রাখতে চাই এটিকে দলকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে।”


তবে আগামী মরসুমে বাংলা থেকে আইএসএলে তিনটি দল অংশ নিলে যে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বেশ চাপে থাকবে সেটাও স্বীকার করে নিচ্ছেন এটিকে কর্তা। তাঁর মতে, “আমরা সবসময় বাংলার ফুটবলের উন্নতি চাই। সেক্ষেত্রে আগামী মরসুমে বাংলা থেকে তিনটি দল আইএসএলে অংশ নিলে আমরাই সবচেয়ে বেশি খুশি হব। কোন দল বাংলার কোন শহর থেকে খেলবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন উদ্যোক্তারা। তবে এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে বাংলা থেকে তিনটি দল খেললে আমাদের এখানে ট্রফি জেতার অনেক বেশি সুযোগ তৈরি হবে।”


একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন যে গত মরসুমের ব্যর্থতা ভুলে এবার স্টিভ কোপেল ও সঞ্জয় সেনের হাত ধরে দু'বারের চ্যাম্পিয়ন দল ঘুরে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, “গত বছর দলগঠনে ত্রুটি ছিল। ফিটনেস নিয়ে শুরু থেকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। চোটের কবলে পড়েছিল দলের মোট ২৮ জন ফুটবলার। ফলে মরসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ফুটবলারদের মধ্যে কোনও মেলবন্ধন গড়ে ওঠেনি। তবে এবার আমরা সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। আশা করি আমরা আবার আইএসএল এ ভালো খেলব।" প্রসঙ্গত এবারই এটিকে-তে যোগ দিয়েছেন রিহ্যাব স্পেশালিস্ট ব্রাজিলের গার্সিয়া।


আরও পড়ুন-