নিজস্ব প্রতিবেদন : ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো একাই যে কতটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন উয়েফা সুপার কাপে সেটাই হাড়ে হাড়ে টের পেল রিয়াল মাদ্রিদ। চার গোল হজম করতে হল রামোসদের। রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-২ গোলে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপ জয় দিয়ে মরশুম শুরু করল দিয়েগো সিমিওনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এস্তোনিয়ার তালিনে উয়েফা সুপার কাপের ইতিহাসে দিয়েগো কস্তার দ্রুততম গোলে দুরন্ত শুরু করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ম্যাচ শুরুর ৫০ সেকেন্ডের মাথায় এগিয়ে যায় তারা। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম গোলের রেকর্ডটি ছিল এভার বানেগার দখলে। ২০১৫ সালে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে গোল করে রেকর্ডটি দখলে রেখেছিলেন সেভিয়ার আর্জেন্টাইন  মিডফিল্ডার। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে টানা আক্রমণ করতে থাকা রিয়াল ২৭ মিনিটে সমতায় ফেরে করিম বেঞ্জেমার গোলে।


আরও পড়ুন - শোকস্তব্ধ টিম ইন্ডিয়া! নীরবতা পালন করলেন কোহলিরা


৬৩ মিনিটে রামোসের স্পট কিকে এগিয়ে যায় রিয়াল। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হুয়ান ফ্রানের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। গোল করতে ভুল করেননি রামোস। ৭৯ মিনিটে ফের দিয়েগো কস্তার গোলেই সমতা ফেরায় অ্যাটলেটিকো। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল ২-২। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে ৯৮ মিনিটে সাউল নিগেসের গোলে এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। আর ঠিক ৬ মিনিট পরেই ভিতোলোর পাসে জোরালো শটে কোকের গোলে স্কোরলাইন হয় ৪-২। বাকি সময়ে তেমন কোনও সুযোগই তৈরি করতে পারেনি গত মাসে জুভেন্তাসে যোগ দেওয়া ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ছাড়া প্রথম কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামা রিয়াল মাদ্রিদ।



প্রতি বছর নতুন মরশুমের শুরুতে গত বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী ও ইউরোপা লিগজয়ী দলের মধ্যে উয়েফা সুপার কাপ হয়ে থাকে। আর প্রথম ক্লাব হিসেবে তিনবার এই প্রতিযোগিতায় খেলে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। এর আগে ২০১০ ও ২০১২ সালে উয়েফা সুপার কাপ জিতেছিল তারা।