Virat vs Babar: `বাবরের দশা কখনই বিরাটের মতো হবে না`! ভবিষ্যদ্বাণী পাক মহারথীর
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে লজ্জাজনক হারের পর ভারতের কাছে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ থাকছে। আর ইন্দো-পাক মহাযুদ্ধ মানেই এখন বিরাট কোহলি বনাম বাবর আজম (Virat Kohli vs Babar Azam)।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে শুরু এশিয়া কাপ (Asia Cup 2022)। ফের জাতীয় দলে ফিরেছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। কোহলি ব্যাট হাতে ফর্মে ফিরতে পারেন কি না, সেদিকে যেমন নজর থাকবে, তেমনই চোখ থাকবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের দিকেও। বাইশ গজের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ফের একবার মুখোমুখি। আগামী ২৮ অগাস্ট পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই ভারতের এশিয়া কাপ অভিযান শুরু। গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে লজ্জাজনক হারের পর ভারতের কাছে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ থাকছে। আর ইন্দো-পাক মহাযুদ্ধ মানেই এখন বিরাট কোহলি বনাম বাবর আজম (Virat Kohli vs Babar Azam)। প্রাক্তন পাক পেসার আকিব জাভেদ (Aaqib Javed) এই ম্যাচের আগে বলছেন যে, পাক অধিনায়ক বাবরের অবস্থা কখনই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাটের মতো হবে না।
আকিব পাকিস্তানের এক চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বড় কথা বলে দিয়েছেন। প্রাক্তন পাক মহারথী বলেন, 'দেখতে গেলে দু'রকমের গ্রেট প্লেয়ার হয়। কেউ কেউ থাকে যারা রাফ প্যাচের মধ্যে আটকে পড়লে, দীর্ঘ সময় সেই দশার মধ্যে দিয়ে যেতে থাকে। বাকিরা হয় টেকনিক্যালি সাউন্ড প্লেয়ার। যাদের রাফ প্যাচ দীর্ঘমেয়াদি হয় না। যেমন বাবর আজম, কেন উইলিয়ামসন ও জো রুট। ওদের দুর্বলতা খুঁজে বার করা খুব কঠিন। কোহলি অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে আটকে যাচ্ছে। ও বহুবার জেমস অ্যান্ডারসনের টার্গেট হয়েছে। কোহলি যদি পারফর্ম করতে না পারে তাহলে ভারত হেরে যাবে। তাহলে কেন ভারত দীপক হুডার মতো ফর্মে থাকা ক্রিকেটারকে খেলাচ্ছে না। যদিও সংযুক্ত আরব আমির শাহির পিচে ফর্মে না-থাকা ব্যাটাররাও ছন্দ খুঁজে পাবে।'
কোহলি কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা উপভোগ করেন। বিশেষত টি-২০ ফরম্যাটে। এখনও পর্যন্ত সাত ইনিংসে কোহলি ৩১১ রান করেছেন। তাঁর গড় ৭৭.৭৫। তিনটি অর্ধ-শতরান রয়েছে কোহলির। বাকি অন্য কোনও ব্যাটার ভারত-পাক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০০ রানও করতে পারেনি। গত ১৭ জুলাই ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ভারত-ইংল্যান্ড খেলেছিল তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ। শেষবার সেই ম্যাচে ভারতের জার্সিতে খেলেছিলেন বিরাট। ইংল্যান্ডের মাটিতে পঞ্চম টেস্টে তিনি মাত্র ৩১ রান করেছিলেন। অন্যদিকে টি-২০ ও ওয়ানডে মিলিয়ে চার ম্যাচ খেলে করেছিলেন মাত্র ৪৬ রান। এশিয়া কাপে কোহলি যদি ব্যাট হাতে ভাল পারফর্ম করতে না পারেন, তাহলে সম্ভবত নির্বাচকরা তাঁর ব্যাপারে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ৯৯৩ দিন কোহলি কোনও শতরানের মুখ দেখেননি। এখন দেখার কোহলি কী করতে পারেন!