ইস্টবেঙ্গল (১) সালগাওকর (৩)
বাংলা (১) গোয়া (৩)


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: ম্যাচের ফল ১/৩। বিপক্ষ গোয়া। বাংলা ফুটবলে জোড়া হার। একটা আই লিগে গোয়ার দলের কাছে। আর অন্যটা সন্তোষ ট্রফিতে গোয়ার বিরুদ্ধে। দুটোতে বাংলার হার ১-৩ গোলে।


সন্তোষ ট্রফির প্রথম ম্যাচেই ধরাশায়ী বাংলা। শক্তিশালী গোয়ার কাছে ১-৩ গোলে হেরে গেল অলোক মুখার্জির দল। নাগপুরে ফুটবলের দুই রাজ্যের ম্যাচে প্রথমার্ধে বাংলার খেলায় দাপট ছিল বেশি। তবে গোল করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি অসীম, জীতেনরা। গোলশূন্য ভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুর প্রথম পাঁচ মিনিটেই গোয়ার দাপটে দুগোলে খেয়ে যায় বাংলা দল। কাট্টিমানি, পিটার কার্ভালোদের দাপটে তখন কাঁপছে বাংলার রক্ষণ।  কিছুক্ষণের মধ্যে তিন গোলে এগিয়ে যায় গোয়া। একঝাঁক আই লিগ খেলা ফুটবলার থাকায় তখন নিজেদের শক্তিটা বুঝিয়ে দিচ্ছিল গোয়া দল। শেষ দিকে বাংলার হয়ে একটি গোল শোধ করেন নরহরি শ্রেষ্ঠা। পায়ের মাসেলে চোট পাওয়ায় ম্যাচ শেষে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় অসীম বিশ্বাসকে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলার প্রতিপক্ষ পঞ্জাব।


গোয়ায় নিভল মশাল। আই লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সালগাওকরের কাছে ১-৩ গোলে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। আরব সাগর তিরে ধরাশায়ী লালহলুদ। অবনমন আওতায় থাকা সালগাওকরের কাছে হেরে আই লিগের চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে জোর ধাক্কা খেল বিশ্বজিত ভট্টাচার্যের দল। তিন পয়েন্টের টার্গেট নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন লালহলুদ কোচ। গোয়ায় ইস্টবেঙ্গলের কাছে সালগাঁওকর বরাবরই শক্ত গাঁট। তিলক ময়দানে লালহলুদের রাতের খুম ফের কেড়ে নিল সন্তোষ কাশ্যপের দল। ম্যাচের চার মিনিটেই  হাওকিপের করা গোলে এগিয়ে যায় সালগাঁওকর।  শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করেন মেহতাব,মেন্ডিরা। চব্বিশ মিনিটে সেই র‍্যান্টি মার্টিন্সের করা গোলে ম্যাচে ফেরে লালহলুদ। তবে এরপরই ফের পট পরিবর্তন। চৌত্রিশ মিনিটে বক্সের মধ্যে জ্যাকিচাঁদ সিংকে সামাদ ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় সালগাঁওকর। পেনাল্টি থেকে গোল করে গোয়ার দলটিকে ফের এগিয়ে দেন এমবার্গা। গোল খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সামাদকে তুলে সেনহাজকে নামান লালহলুদ কোচ। ঘাড়ে চোট পাওয়ায় তুলে নিতে হয় বেলো রজ্জাকেও । রক্ষণে অর্ণবের সঙ্গী হন মেন্ডি। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া বিশ্বজিত দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে মেহতাবকে তুলে নামিয়ে দেল লোবোকে।
 
অ্যাটাক কাউন্টার অ্যাটাকে জমে ওঠে ম্যাচ। বেশ কয়েকবার সালগাওকরের আক্রমণ রুখে দেন লুইস ব্যারেটো। অন্যদিকে আক্রমণ করলেও বিপক্ষের রক্ষণ ভাঙতে পারেননি র‍্যান্টি,রফিকরা। আটাত্তর মিনিটে সেনহাজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়াও ইস্টবেঙ্গলের লড়াই আরও কঠিন হয়ে যায়। ম্যাচের শেষ দিকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন মেন্ডি। ইনজুরি টাইমে কাউন্টার অ্যাটক থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করে সালগাওকরের জয় নিশ্চিত করেন হাওকিপ।