নিজস্ব প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ২ বছরের জন্য নির্বাসনের সাজা পেলেন বাংলাদেশের টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার কাছে তথ্য গোপন করায় বিশ্বের একনম্বর ওডিআই অলরাউন্ডারকে দুবছরের জন্য নির্বাসিত করে আইসিসি। যার মধ্যে এক বছরের শাস্তি দোষ স্বীকার করায় স্থগিত থাকবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় সাকিবকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন এক বুকি। আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার কাছে সেই তথ্য গোপন করে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক। গতবছর আইপিএলে খেলার সময়ও ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সাকিবকে। সেই তথ্যও গোপন করে গিয়েছিলেন তিনি। একাধিকবার বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য গোপন করে গিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। আইসিসির কালো তালিকাভুক্ত এই বুকির সঙ্গে ফোনে কথা বলার তথ্য গোপন করার অভিযোগেই বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডারকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।


 



মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি সাকিবের শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট করে। অপরাধ এবং শাস্তি দুটোই মেনে নেওয়ায় শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকছে না সাকিবের। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কোনও ধরনের ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। ফলে আগামী বছর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলতে পারবেন না সাকিব। এক বছরের নির্বাসন চলাকালীন নতুন করে  কোনও আইন না ভাঙলে পরবর্তী এক বছরের শাস্তি থেকে রেহাই পাবেন সাকিব। সেক্ষেত্রে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের পর আবার মাঠে ফেরার সুযোগ পাবেন সাকিব। ফলে বাংলাদেশের আসন্ন ভারত সফর তো বটেই আইপিএলেও খেলতে পারবেন না সাকিব।


আরও পড়ুন - ভারতের মাটিতে প্রথম দিন-রাতের টেস্ট ইডেনেই