নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রিকেট পাগল দেশের একটা ক্রিকেট পাগল মেয়ে বিনা চিকিত্সায় মরছে! একসময় দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন। প্রতিনিধিত্ব করেছেন জাতীয় ফুটবল দলেরও। যে ক্রীড়াবিদ এক  সময় দেশ-বিদেশের মাঠে সবুজ আর গাঢ় লাল রঙের পতাকাকে আকাশ ছুঁইয়েছে সে আজ প্যারালাইসড হয়ে বিছানায়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর সঠিক চিকিত্সার অভাবে চামেলি খাতুনের মেরুদণ্ড ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। যার ফলে উঠে দাঁড়ানোর শক্তিও হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, উপযুক্ত চিকিত্সার জন্য তাঁকে এখনই বিদেশে নিয়ে যাওয়া দরকার। আর তার জন্য চাই ১০ লাখ টাকা। এই ১০ লাখ টাকাই চামেলির হাতে পৌঁছে দিতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবিদ-কে হেনস্থা, অভিযোগ পুলিসি নিষ্ক্রিয়তারও


সমাজের একাংশ বলছেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে টি-টোয়েন্টি লিগ হচ্ছে, লাখ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে ক্রিকেটের উন্নতিতে, অথচ যিনি ক্রিকেটে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন তাঁর চিকিত্সায় এক পয়সাও খরচ করে উঠতে পারছে না দেশ! অভিযোগ উঠেছে, তাঁর বিষয়ে কোনও খোঁজও পর্যন্ত  কেউ নিচ্ছেন না।


আরও পড়ুন- অর্জুনজয়ী বক্সার এখন হকার!


সম্প্রতি ঢাকা ট্রিবিউন-এ চামেলি খাতুনের অসুস্থতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শয্যাশায়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার বলছেন, তিনি আরও বাঁচতে চান। চামেলি দেখতে চান, তাঁর সব থেকে প্রিয় জাতীয় দলের পতাকা সবচেয়ে উঁচুতে উড়ছে। তাঁর ইচ্ছে, তিনি সুস্থ হয়ে আবারও ক্রিকেট খেলবেন, দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন, বাংলাদেশকে গৌরব এনে দেবেন। নিজেকে সুস্থ করতে  দেশবাসীর প্রার্থনা চাইছেন তিনি। চামেলি খাতুন ঢাকা ট্রিবিউন-কে জানিয়েছেন, “আমি দেশের মানুষের কাছে সাহায্য চাইছি, তাঁদের দোয়া চাইছি। আমি সবার প্রার্থনা আর সাহায্যে ক্রিকেট মাঠে ফিরতে চাই”।


উল্লেখ্য, চামেলিকে চাকরি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ার পর চাকরি আর করতে পারেননি তিনি। পরে সেই চাকরিও চলে যায়। যার ফলে এই মুহূর্তে কর্পদকশূন্য চামেলি ও তাঁর পরিবার। এই অলরাউন্ডারের এখন সরকারি সাহায্যের দিকেই তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায়ই নেই। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে চামেলি খাতুনের অসুস্থতার কথা জানানো হয়েছে। তবে মাস খানেক পার হয়ে গেলেও বিসিবি-র তরফ থেকে এখনও কোনও সাহায্যের হাত এগিয়ে আসেনি।