অর্জুনজয়ী বক্সার এখন হকার!
২০১০ সালে চিনের গুয়াংঝাউতে আয়োজিত এশিয়ান গেমসে ৮১ কেজি বিভাগে বক্সিংয়ে রুপো জেতেন ভারতের দীনেশ কুমার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাস বোধ হয় একেই বলে। রাস্তায় কুলফি বিক্রি করেই পেট চলে অর্জুন পুরস্কারজয়ী বক্সারের। এশিয়ান গেমসে রুপোজয়ী এবং অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত হরিয়ানার বক্সার দীনেশ কুমারের দিল চলে রাস্তায় কুলফি বিক্রি করেন। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে শেষ হয়ে গিয়েছে দীনেশের কেরিয়ার। ঋণ শোধ করতে কুলফি বেচেই দিন চলছে দীনেশের।
আরও পড়ুন - হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রয়াত লেস্টার মালিক!
২০১০ সালে চিনের গুয়াংঝাউতে আয়োজিত এশিয়ান গেমসে ৮১ কেজি বিভাগে বক্সিংয়ে রুপো জেতেন ভারতের দীনেশ কুমার। সেই বছরেই অর্জুন সম্মানে সম্মানিত হন হরিয়ানার এই বক্সার। বক্সিং রিংয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াইয়ে দেশের বাইরেও পাড়ি দেন দীনেশ। কিন্তু তারকা হয়ে ওঠার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ২০১৪ সালে। সামানার কাছে একটি ট্রাকের সঙ্গে তাঁর গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আঘাত পাওয়ার কেরিয়ারে ইতি টানতে বাধ্য হন। তাঁর আগে অবশ্য বিশ্বজুড়ে নানা প্রতিযোগিতায় ১৭টি সোনা একটি রুপো এবং ৫টি ব্রোঞ্জ জিতেছেন ভিওয়ানির এই বক্সার।
Haryana: Dinesh Kumar, an international boxer and an Arjuna Awardee who hails from Bhiwani, now sells ice-creams for a living as well as to repay loan. He has won a total of 17 gold, 1 silver and 5 bronze medals and is now seeking government's help. pic.twitter.com/4U3SSKB3hC
— ANI (@ANI) October 28, 2018
ছেলেকে বক্সার গড়ে তুলতে, ইংল্যান্ড সহ অন্যান্য দেশে খেলতে পাঠাতে প্রচুর ঋণ হয়ে গিয়েছে দীনেশের বাবার। তাঁর দাদার কথায়, "লাখ লাখ টাকা ঋণে ডুবে রয়েছি আমরা। সরকার থেকে কোনও সাহায্য পাইনি। আমরা কেমন অবস্থায় আছি, সেটাও জানতে চায়নি কেউ।" আর দীনেশের কথায়, "সরকার যে চাকরি দেবে বা আর্থিক সাহায্য করবে, এমন আশা দেখি না। কোনও রাজনৈতিক দলও আমাকে সাহায্য করার কথা বলে নি। আমি কিন্তু এখনও ভাল ক্রীড়াবিদ। কিন্তু, তা সত্ত্বেও পরিবারকে সাহায্য করতে এই রাস্তা বেছে নিয়েছি। আমার কেরিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পরিবারের যে ধার হয়েছিল, তা মেটানোই লক্ষ্য।তারপর পারলে বক্সিং রিংয়ে ফিরব।" আপাতত বক্সিং রিং ছেড়ে দীনেশের ঠিকানা রাস্তায়। হাতে গ্লাভসের বদলে বরং ঠেলছেন আইসক্রিম-কুলফির গাড়ি। একটা ধাক্কাই আমূল পাল্টে দিয়েছে তাঁর জীবন। কঠিন বাস্তব মাটিতে দাঁড়িয়ে দেনা শোধই দীনেশের ধ্যানজ্ঞান।