নিজস্ব প্রতিনিধি :  দশ লাখ টাকা প্রয়োজন ছিল চিকিত্সার জন্য। সেটাই জুগিয়ে উঠথে পারছিল না বাড়ির লোকজন। চামেলি খাতুনের শারীরিক অবস্থা দিনদিন আরও খারাপ হচ্ছিল। চামেলি খাতুনের পরিচয় বলে নেওয়া যাক। একটা সময় বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট ও ফুটবল দলের হয়ে খেলছেন তিনি। ১৯৯৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত খেলেছেন বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন চামেলি খাতুন। আট বছর আগে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার পর থেকে জীবন পাল্টে যায় তাঁর। শুরু হয় কঠিন লড়াই। তার পর থেকেই শয্যাশায়ী তিনি। মাত্র ২৭ বছর বয়সে প্রায় প্যারালাইজড হয়ে পড়েছিলেন চামেলী। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে চামেলীর অসুস্থতার কথা শুনে এগিয়ে আসেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  জীবনের শেষ ম্যাচ, সতীর্থদের সংবর্ধনায় 'গম্ভীর' থাকতে পারলেন না গৌতম


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ভারতে চিকিত্সার জন্য আনার উদ্য়োগ নেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়। বেঙ্গালুরুর নারায়ণী হাসপাতালে চামেলীর চিকিৎসা চলছিল। জানা গিয়েছে, আগের চেয়ে ভালো আছেন তিনি। একটা সময় প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন চামেলী। তবে ফের মনের জোর খুঁজে পেয়েছেন। আবার স্বপ্ন দেখছেন ক্রিকেট মাঠে ফেরার। 
২০১১ সালে পায়ের লিগামেন্টে চোট পান তিনি। তার পরতাঁর মেরুদণ্ডের দুটি হাড়ের ডিস্ক নষ্ট হয়ে যায়। শরীরের পুরো ডান পাশ অবশ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল এই অলরাউন্ডারের।


আরও পড়ুন-  ভারতকে দিন-রাতের টেস্ট খেলতে অনুরোধ অস্ট্রেলিয়ার


সপ্তাহখানেক আগে চামালীর ডান পায়ের লিগামেন্টের অস্ত্রোপচার হয়েছে। ডা. প্রশান্ত তেজওয়ানির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন চামেলী। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, চামেলীর পায়ের কন্ডিশন আগের থেকে একটু একটু করে ভালো হচ্ছে। তবে পুরোপুরি সেরে উঠতে মাস ছয়েক লাগবে। তবে আপাতত ছয় মাস তাঁকে বিশ্রামে থাকতে হবে। ১০ ডিসেম্বর দেশে ফেরার কথা চামেলীর। জানা গিয়েছে, মানসিক দিক থেকেও আগের থেকে ভাল জায়গায় রয়েছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।