নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশা, ঐতিহ্যের বারপুজোয় বর্ষবরণ ময়দানে
সুখেন্দু সরকার
নতুন বছরে নতুন আশা, একরাশ প্রত্যাশা। চিরাচরিত নিয়ম মেনেই ময়দানে বারপুজোয় শুরু হল বাঙালির নববর্ষ। সামিল আট থেকে আশি। সকাল থেকেই সরগরম ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দুই প্রধানের ক্লাব তাঁবু।
লাল-হলুদ তাঁবুতে বার পুজোয় সামিল স্প্যানিশ কোচ আলেসান্দ্রো। পয়লা বৈশাখের সকালে চড়া রোদেই সমর্থকদের সেলফির আবদার মেটালেন তিনি। ব্রেন্ডন, চুলোভা, রালতেদের সঙ্গে বোরহা, অ্যাকোস্তা, কোলাডোরাও আসেন ক্লাব তাঁবুতে। ক্লাব কর্তাদের পাশাপাশি বার পুজোয় হাজির কোয়েস কর্তারাও। আসলে এই ছবিটাই হয়তো চাইছিলেন অগণিত লাল-হলুদ জনতা। নতুন বছরে ঘুচে যাক ক্লাব-ইনভেস্টর দূরত্ব। নতুন মরশুমে ব্রেন্ডনকে সবার আগে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তাই মিজো ফুটবলারের হাত ধরেই নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখা শুরু শতবর্ষের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গলের।
নতুন মরশুমে তাহলে কি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ব্রেন্ডন? কোয়েস কর্তা সঞ্জিত সেন বলে দিলেন, "অধিনায়ক ঠিক করবেন কোচ। নতুন মরশুমের দল গঠণের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশের এক নম্বরে লিগেই খেলব আমরা সেই প্রক্রিয়াই চলছে।" অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল সচিব অবশ্য এদিন পয়লা বৈশাখে কালবৈশাখির আভাস দিলেন। ক্লাব-ইনভেস্টর দূরত্বকে যেন উসকে দিলেন কল্যান মজুমদার।
এদিকে আর এক প্রধান শতাব্দী প্রাচীন মোহনবাগানে এদিনই চালু হল ওয়েবসাইট আর মোহনবাগান টিভি। ক্লাবের যাবতীয় আপটেড এবার থেকে পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইটে। মোহনবাগানের বারপুজো করলেন সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু। কিংসলে, শিল্টন পালরাও এসেছিলেন ক্লাবের বারপুজোয়। গত মরশুমের ব্যর্থতা ভুলে নতুন বছরে সাফল্যের আশায় সবুজ-মেরুন।
দুই প্রধানের পাশাপাশি ময়দানের অন্যান্য ক্লাবগুলোতেও হল বারপুজো। এই দিনটা যেন প্রত্যেকের কাছেই পুনর্মিলন উত্সব। নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত পয়লা বৈশাখের পরই শুরু হত নতুন মরশুম। প্রযুক্তির যুগে ফুটবলের সেই কক্ষপথ বদলেছে। সাবিয়েকানা ছেড়ে বাঙালি যতই আধুনিক হোক না কেন, পয়লা বৈশাখে ময়দানে বারপুজোর মিথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালিয়ানা। আজ স্মার্টফোনে বন্দি হয়েছে আজকের ফুটবল। সেলফিতে বন্দি আজকের বারপুজো।