নিজস্ব প্রতিবেদন : অপরাজিত ১৪৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ২১টি চার ও তিনটি ছক্কায় সাজানো। রনজি সেমিফাইনালে অনুষ্টুপ মজুমদারের এই ইনিংস নিয়ে এখন বাংলার ক্রিকেট সার্কিটে ধন্যি ধন্যি রব। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩১২ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কর্ণাটকের ব্যাটিং লাইন যে এভাবে ভেঙে পড়বে তা কে জানত! ৩৬.২ ওভারে মাত্র ১২২ রানে শেষ হয়ে গেল কে এল রাহুলের দলের ইনিংস। ইডেনে রনজি ট্রফির সেমিফাইনালের দ্বিতীয় দিনে ১৯০ রানের লিড নিয়ে অ্যাডভান্টেজ বাংলা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নয় উইকেটে ২৭৫ রান দিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলা। শেষ উইকেটে অনুষ্টুপ মজুমদার ও ঈশান পোড়েল মিলে ৫৪ রান যোগ করে বাংলার ইনিংস ৩১২ রানে পৌঁছে দেন। ইশান যদিও বড় রানের ইনিংস খেলেননি। করেছেন মাত্র ৭ রান। কিন্তু তিনি অনুষ্টুপের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিতে থাকেন। এক প্রান্তে রান তুলতে থাকেন অনুষ্টুপ। ২০৭ বল খেলে অনুষ্টুপ ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। ঈশান আউট না হলে এদিন অনুষ্টুপের ১৫০ রান হয়ে যেত। যদিও অনুষ্টুপের সেই নিয়ে আক্ষেপ নেই। বরং দলের প্রয়োজনে বড় রানের ইনিংস খেলতে পেরে তিনি তৃপ্ত।


আরও পড়ুন-  দশ বছরের সেরা ক্যাচ ধরলেন স্যর জাদেজা! হা করে দেখার মতো ফিল্ডিং


বল হাতেও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন ঈশান পোড়েল। পাঁচ উইকেট নেন তিনি। নতুন বলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন তিনি। পর পর দুই ওভারে ফেরান রবিকুমার সমর্থক ও করুণ নায়ারকে। পাঁচ রানে দুই উইকেট হারানো কর্ণাটককে এর পরই চেপে ধরেন বাংলার পেসাররা। কে এল রাহুল ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেছিলেন। সঙ্গে মণীশ পাণ্ডে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাহুল ২৬ রানে ও মণীশ ১২ রানে আউট হওয়ার পর আরও সমস্য়ায় পড়ে কর্ণাটক। বাংলার আকাশ দীপ তিন উইকেট নিয়েছেন। কর্ণাটকরে হয়ে গোথাম সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন।