Ranji Trophy 2022, Bengal vs Baroda: বিধ্বংসী পোড়েল, আগুনে মুকেশ! বরোদা গুটিয়ে গেল ১৮১ রানে
আগুনে বোলিং ঈশান পোড়েল ও মুকেশ কুমারের
নিজস্ব প্রতিবেদন: আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি পঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) টুইটার হ্যান্ডেলে গেলে জ্বলজ্বল করছে বাংলার পেসার ঈশান পোড়েলের (Ishan Porel) মুখ। চন্দননগরের বছর তেইশের জোরে বোলার বৃহস্পতিবার রঞ্জিতে বরোদার বিরুদ্ধে যে বিধ্বংসী স্পেল করেছেন, সে কথাও তুলে ধরেছে পোড়েলের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি। এদিন পোড়েল ১৪ ওভার বল করেছন। যার মধ্যে ৩টি মেডেন। তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। খরচ করেছেন মাত্র ৪০ রান। পোড়েলের এহেন পারফরম্যান্সে বরোদার ব্যাটাররা মুখ তুলতে পারেননি। কেদার দেবধরের দল প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গিয়েছে মাত্র ১৮১ রানে।
অরুণ লালের শিষ্যরা এদিন রঞ্জি অভিযান শুরু করল বরোদার বিরুদ্ধে। কটকের বারাবটি স্টেডিয়ামে অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল টস জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। পোড়েলের সঙ্গেই বরোদার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান কলকাতার জোরে বোলার মুকেশ কুমার। তিনি তুলে নেন ৩ উইকেট। ১৬.২ ওভার বল করে ৫টি মেডেন দিয়ে খরচ করেন ৩৩ রান। ঈশান-মুকেশের যুগলবন্দিতে সাত উইকেট চলে আসে বাংলার ঝুলিতে। বাকি তিন উইকেটের মধ্যে ২টি আকাশ দীপ ও ১টি শাহবাজ আহমেদ নেন। এদিন বাংলার হয়ে অভিষেক করেন ঈশানের ভাই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অভিষেক পোড়েল।
বরোদার স্কোরবোর্ড ও ঈশান-মুকেশের বোলিং তুলে ধরেছে দেবধরের দলের ব্যাটিং দুর্দশার চিত্র। একমাত্র উজ্জ্বল মিতেশ প্যাটেল। সাতে ব্যাট করতে নেমে তিনি ৬৬ রান যোগ না করতে বরোদার স্কোর ঠিক কত হতে পারত, তা আন্দাজ করে নেওয়া যায়। কারণ এই দলটা এদিন প্রথম ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলেছিল মাত্র ৬৪ রানে। বরোদার স্টার অলরাউন্ডার ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার দাদা ক্রুনাল পাণ্ডিয়া করেছেন মাত্র ৬ রান। বরোদার রান তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে বাংলা এক উইকেট হারিয়ে ২৪ রান তুলেছে। সুদীপ ঘরামি ও অভিমন্য়ু ওপেন করতে নেমেছিলেন। মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান বাংলার অধিনায়ক। অপরাজিত আছেন সুদীপ (১১) ও তিনে ব্যাট করতে নামা সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৯)।
ম্যাচে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর ঈশান পোড়েল কটক থেকে ফোনে জি ২৪ ঘণ্টাকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ঈশানের কাছে রঞ্জি ট্রফির প্রত্যাবর্তন ও কটকের পিচ নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তিনি বলেন, "রঞ্জি ট্রফি হওয়া দরকার ছিল। ভারতে যারা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে তাদের জন্য রঞ্জি অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। এটা ধৈর্য্যের খেলা। অর্থনৈতিক দিক থেকেও খেলোয়াড়দের সুবিধা হয়। সবাই খুশি যে রঞ্জি শুরু হয়েছে। দু'বছর আগে আমরা যখন কটকে খেলেছিলাম, আমাদেরও একই অবস্থা হয়েছিল। ফলে আমাদের মাথায় ছিল প্রথম আড়াই ঘণ্টায় যা করার করে নিতে হবে এই উইকেটে। শুরুর দিকে হয়তো পারিনি। কিন্ত ধৈর্য্য না হারিয়ে বল করেছি। হয়তো কয়েকটা এলবিডব্লিউ আমাদের পক্ষে যায়নি। কিন্তু ঠিক আছে আমরা পেরেছি করতে।" অন্যদিকে ভাইয়ের কিপিংয়ে মোহিত ঈশান। বলছেন বিশ্বমানের কিপিংয়ের সঙ্গেই দুর্দান্ত ক্যাচগুলি নিয়েছে। এতটা প্রত্যাশাও ছিল না। দাদা রীতিমতো খুশি ভাইয়ের পারফরম্যান্সে। তবে ঈশান আসন্ন ভারত-শ্রীলঙ্কা সিরিজে দলে সুযোগ পাওয়া বা আইপিএল নিয়ে ভাবিত নন। তিনি বাংলার হয়েই রঞ্জিতে সেরাটা উজার করে দিতে চাইছেন।