কর্ণাটককে হারিয়ে ১৩ বছর পর রঞ্জি ফাইনালে বাংলা, সাক্ষী থাকল ইডেন গার্ডেন্স
জয়ের জন্য কর্ণাটকের দরকার ছিল ৩৫২ রান। রান তাড়া করতে গিয়ে শুরু থেকেই হোঁচট খায় কেএল রাহুলরা। ইশান পোড়েলের বলে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় রাহুলকে
বাংলা- ৩১২ | ১৬১
কর্ণাটক- ১২২ | ১৭৭ (৫৫.৩ ওভার, লক্ষ্য ৩৫২)
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্ণাটককে ১৭৪ রানে হারিয়ে ১৩ বছর পর রঞ্জির ফাইনালে বাংলা। শেষ বার ২০০৬-০৭ মরশুমে ফাইনালে উঠেছিল। এবার সেই নজিরই গড়ে দেখাল অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল।
জয়ের জন্য কর্ণাটকের দরকার ছিল ৩৫২ রান। রান তাড়া করতে গিয়ে শুরু থেকেই হোঁচট খায় কেএল রাহুলরা। ইশান পোড়েলের বলে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় রাহুলকে। দেবদূত পাডিক্কলের ৬২ রান ছাড়া তেমন কেউ দাগ কাটতে পারেননি। শেষে অভিমন্যু মিঠুন (৩৮) এবং কে গোথাম (২২) লড়াই চালিয়ে গেলেও শেষমেশ ১৭৭ রানে গুটিয়ে যায় কর্ণাটক। দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ৬টি উইকেট নেন মুকেশ কুমার। এই ইনিংসে ইশান পোড়েল এবং আকাশ দীপ ২টি করে উইকেট পান।
আরও পড়ুন- ভেন্টিলেশনে প্রাক্তন ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়!
টসে জিতে কর্ণাটক ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাকে। অনুষ্টুপ মজুমদারের ১৪৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে বাংলা করে ৩১২ রান। যোগ্য সঙ্গ দেন আকাশ দীপ ৪৪ এবং শাহবাজ আহমেদ ৩৫ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাহুলরা মাত্র ১২২ রানে গুটিয়ে যায়। ইশান পোড়েল একাই ৫টি উইকেট পান। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে অভিমন্যুরা কর্ণাটকের বোলারদের কাছে এঁটে উঠতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা করে ১৬১ রান। ইডেন গার্ডেনে সেমি ফাইনালে কর্ণাটককে হারিয়ে ১৩ বছর পর বাংলা ফাইনালে উঠল। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন অনুষ্টুপ মজুমদার।