ওয়েব ডেস্ক : কলিঙ্গ যুদ্ধ শেষে লাল-হলুদ মিশে গেল নীলে। ভুবনেশ্বর দেখল ভারতীয় ফুটবলে নীল বিপ্লব। সুপার কাপের ফাইনাল ছিল আই লিগ বনাম আইএসএল দ্বন্দ্বের মর্যাদার লড়াই। একদিকে আই লিগ ক্লাবগুলির সম্মান রক্ষার  দায়িত্ব ছিল ইস্টবেঙ্গলের কাঁধে। অন্যদিকে আইএসএল ক্লাবগুলির সম্মান রক্ষার গুরুদায়িত্ব ছিল বেঙ্গালুরুর ওপর। সেই সম্মানের লড়াইয়ে  পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত দুরন্ত জয় বেঙ্গালুরুর। কলিঙ্গ যুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রথম সুপার কাপ ঘরে তুলল বেঙ্গালুরু এফসি। ফাইনালে জোড়া গোল অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেমিফাইনালে বাগান বধের চিত্রনাট্যেরই যেন পুরনাবৃত্তি হল ফাইনালে। পিছিয়ে পড়ে জয় ছিনিয়ে নেওয়া যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে বেঙ্গালুরু এফসি। এদিন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ১ গোলে পিছিয়ে পড়েও ৪-১ গোলে জয় তারই নিশান।



সেমিফাইনালে গোল করে দলকে জেতানো ডুডুকে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখেই প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক-খালিদ জামিল জুটি। শুরুটা ভালই করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ডুডুর পরিবর্তে মাঠে নামা সেই ক্রোমার গোলেই ২৮ মিনিটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ক্রোমার পেটে লাথি মেরেও হলুদ কার্ড দেখে বেঁচে যান বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। পিছিয়ে পড়ে আক্রমণে জোর বাড়ায় মিকু-সুনীল-উদান্তরা। ৩৯ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করে বেঙ্গালুরুকে সমতায় ফেরালেন লাল-হলুদের প্রাক্তণী রাহুল ভেকে। প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে শুভাশিসকে মুখে মেরে লাল-কার্ড দেখেন সামাদ আলি মল্লিক।



দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের ইস্টবেঙ্গলকে পেয়ে ছিঁড়ে খেল বেঙ্গালুরু। বক্সে হাত দিয়ে বল নামিয়ে ৬৯ মিনিটে সুনীলদের পেনাল্টি উপহার দিলেন গুরবিন্দর। স্পটকিক থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি সুনীল ছেত্রী। ৭১ মিনিটে মিকুর গোলে স্কোরলাইন ৩-১ করে নেয় আলবার্তো রোকার দল। আর ৯০ মিনিটে রাহুল ভেকের ক্রসে সুনীল ছেত্রীর দ্বিতীয় গোল। ৪-১ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে চূর্ণ করে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসি।



আরও পড়ুন- আর্সেনালকে আলবিদা আর্সেন ওয়েঙ্গারের