স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ ২৯ আগস্ট। জন্মদিন বীরধবল খাড়ের। প্রশ্ন হল কে এই বীরধবল খাড়ে? লজ্জাটা সেখানেই। বীরধবল খাড়ে এই মুহূর্তে আমাদের দেশের অন্যতম সেরা সাঁতারু। আজ তাঁর বয়স হল মাত্র ২৬ বছর। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে জন্মানো বীর ছেলেবলা থেকেই সাঁতারে খুব পটু। সেটা ঠিক কতটা, এটা বোঝার জন্য একটা তথ্য দিলেই বোঝা যাবে। ৫০ মিটার, ১০০ মিটার, ২০০ মিটার এবং ৪০০ মিটার ফ্রি স্টাইল সাঁতারে বীর শুধু দেশের চ্যাম্পিয়নই নন, তিনি এই চারটি ইভেন্টেই জাতীয় রেকর্ড করে বসে আছেন!


আরও পড়ুন নিজে চোখে তো আপনি দেখেনই, কিন্তু ঠিক দেখবেন কীভাবে, জানুন


দেশে, দক্ষিণ অশিয়া স্তরে, বৃহত্তর এশিয়া স্তরে বীরধবল যখনই সাঁতারের পুলে নেমেছেন, তখনই পদক জিতেছেন। এই পর্যন্ত পড়ে যদি আপনি মনে করেন, এত ভালো সাঁতারু তো বুঝলাম। কিন্তু অলিম্পিকে কী করেছেন সে শুনি? তাহলে বীরের হয়ে বলার মতো কথাও আছে। বীরধবল খাড়ে দেশের ইতিহাসের কনিষ্ঠতম সাঁতারু যিনি অলিম্পিক সাঁতারে যোগ্যতা অর্জণ করেছেন। যদিও বেজিং অলিম্পিকে সেবার তাঁর পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। অবশ্য তাঁর পারফরম্যান্স ভালো ছিল না বললে, কথাটার অন্য ব্যাখ্যাও হতে পারে। আপনাকে মাথায় রাখতে হবে অলিম্পিকের সাঁতারের পুলে এক ভারতীয় পুরুষকে লড়াই করতে হচ্ছে আমেরিকা এবং চিনের সাঁতারুদের বিপক্ষে! আমেরিকা এবং চিনে সাঁতার যতটা জনপ্রিয় খেলা, এ দেশে তার ধারে-কাছেও থাকবে না। তাসত্ত্বেও বীরধবল খাড়েরা ভয়ে পিছিয়ে যান না। সার্থক তাঁর নামকরণ।


শুধু সমস্যা হচ্ছে, মাইকেল ফেল্পসেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তিনি সেরা তো আর হতে পারেন না। এমন নয় যে, তিনিই পারেন না। গত ১২ বছর অলিম্পিকে আর ফেল্পসকে পাল্লা দিলেন কে? কোন দেশেরই বা সাঁতারু? তবু, বীররা দেশে মোটেই আদর পান না। এ দেশের সাঁতার মহল মনে করে, বীরধবলের মতো সুপুরুষ খেলোয়াড় আর একটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা মানুষটাকে কী আর সাধে সাধে নাইকির মতো বহুজাতিক সংস্থা স্পনসর করে! বীরধবল খাড়েকে এ দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা আর একটু উত্সাহ দিলে ভালো ফলই পাবেন। আগে হয়নি। আজও হয়তো হচ্ছে না। কিন্তু আগামীতে কেউ যদি দেশের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও অলিম্পিক সাঁতার ইভেন্ট থেকে পদক নিয়ে আসেন, তাহলে সেদিন বীরধবলের কৃতিত্ব টের পাওয়া যাবে। আর এবার বরং, বীরের কয়েকটা ছবি দেখে নিন। তাহলেই বুঝবেন, ঠিক কতটা সুদর্শন পুরুষ খেলোয়াড় বীরধবল খাড়ে।