বাউন্সারের বিধিনিষেধেও বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ তুলছেন সামি
১৯৯১ সালে আইসিসি ওভার প্রতি একটা বাউন্সারের নিয়ম চালু করে। ১৯৯৪ সালে নিয়ম বদলে সেটা দুটো বাউন্সার করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন পুলিসের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লডেয়ের মৃত্যুর পর বর্ণবৈষম্য নিয়ে সরব গোটা বিশ্ব। সরব হয়েছেন প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ড্যারেন সামিও। আইপিএলে হায়দরাবাদে খেলতে এসে বর্ণবৈষম্যের শিকার হন বলে বিরাট অভিযোগ তোলেন তিনি। এবার ক্রিকেটে বাউন্সার নিয়েও বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ তুললেন তিনি।
তাঁর মতে ক্যারিবিয়ান পেসারদের দাপট কমাতেই বাউন্সারের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সামি বলেন, "অস্ট্রেলিয়ার জেফ থমসন, ডেনিস লিলিরাও জোরে বল করতেন। ব্যাটসম্যানদের আহত করতেন। কিন্তু কেবলমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ বোলাররা বিধ্বংসী হয়ে উঠতেই বাউন্সারের নিয়ম চালু করা হয়। আমার তো তাই মনে হয়। আমার ভুলও হতে পারে। কিন্তু আমি এটা এভাবেই দেখছি। আর এটা করা উচিত্ হয়নি। "
তবে সত্তর-আশির দশকে ক্যারিবিয়ান বোলারদের শাসন ছিল বিশ্ব জুড়ে। ১৯৯১ সালে আইসিসি ওভার প্রতি একটা বাউন্সারের নিয়ম চালু করে। ১৯৯৪ সালে নিয়ম বদলে সেটা দুটো বাউন্সার করা হয়। নিয়ম ভাঙলে ২ রান পেনাল্টি ছিল। ২০০১ সালে ওয়ান ডে তে আবার ওভার প্রতি একটা বাউন্সারের নিয়ম চালু হয়। নিয়ম ভাঙলে নো বল হিসেবে ব্যাটিং দল এক রান পেত। ২০১২ সাল থেকে ওভার প্রতি দুটো বাউন্সারের নিয়ম চালু হয়েছে টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্টিতে ওভার প্রতি একটাই বাউন্সারের নিয়ম চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন -ATK-মোহনবাগানেই কি থাকছেন রয় কৃষ্ণা? সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন ফিজির স্ট্রাইকার