নিজস্ব প্রতিবেদন: উ-ফ-ফ! স্লিপে কী দুর্ধর্ষ ক্যাচটাই না ধরল বিরাট। শূন্যে ঝাপিয়ে বাঁ দিকে শরীর ছুড়ে দিয়ে রকেট গতিতে আসা একটা বলকে যে এভাবে তালুবন্দি করা যায়, তা এই ক্যাচ না দেখলে বোঝা তো দূর ভাবাই যায় না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ট্রেন্ট ব্রিজে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করবেন তো বেয়ারস্টো?


এ দিন (মঙ্গলবার) ট্রেন্ট ব্রিজে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর প্রারম্ভেই তিন উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তরুণ ব্যাটসম্যান অলি পোপ সবে মাত্র জমাট বাঁধতে শুরুই করেছিলেন, তখনই শামির বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেট খোয়াতে হয় তাঁকে।


বিরাটকে টপকে ট্রেন্ট ব্রিজে সম্মানিত হার্দিক


তবে এই উইকেট শামির থেকেও বেশি বিরাটেরই। খেলা তখন ২৫ ওভারে। বোলিংয়ে স্পিডস্টার মহম্মদ শামি। অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে পোপের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল থার্ড স্লিপের দিকে এগোচ্ছে, সেকেন্ডও সময় গেল না, সুরক্ষিত হাতে সেই ক্যাচ লুফে নিলেন ভারত অধিনায়ক। আর পোপের উইকেট (১৬) হারিয়ে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল ব্রিটিশ দল।



প্রসঙ্গত, এই টেস্টে শুরু থেকেই স্লিপ ক্যাচে উন্নতি করেছিল ভারত। মূলত লোকেশ রাহুলই ছিলেন স্লিপের ভরকেন্দ্র। বিতর্ক থাকলেও প্রথম ইনিংসে জো রুটের ওই মাটি ছুঁই ছুঁই ক্যাচ তালুবন্দি করেই খেলা অনেকটা ঘুরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপর উইকেটের পিছনে অভিষেক ম্যাচেই নজর কেড়েছেন ঋষভ পন্থও। পাঁচ পাঁচটা উইকেটের পিছনে রয়েছে ঋষভের তেরঙ্গা গ্লাভসই। ভারত যখন একটা ইউনিট হয়ে খেলছে, লড়ছে তখন দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাটের এমন একটা ক্যাচ যে শুধু ক্রিকেটারদের মনোবল বাড়াবে তাই নয়, একই সঙ্গে দলকে জয়ের দিকে আরও এক পা এগিয়েও নিয়ে যাবে। বিরাটের এই ক্যাচ যে সিরিজের অন্যতম সেরা ক্যাচ হওয়ারও দাবি রাখে- সেটা বললে এতটুকুও অতিকথন হবে না।


উল্লেখ্য, নটিংহ্যামেও বিরাটের ফিল্ডিং ছিল বিশ্বমানের। জো রুটকে যেভাবে সিঙ্গল থ্রো-তে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছিলেন তা দেখে বাহবা দিয়েছিলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ ক্রিকেটাররাও। নাসের হুসেন থেকে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা একাদশে জায়গা পাওয়া গ্রেম সোয়ানও বিরাটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন। এবার ট্রেন্ট ব্রিজেও তেমনই এক ছবি তুলে ধরলেন ভারত অধিনায়ক। যার প্রশংসা যতই করা হোক না কেন, তা কমই থেকে যায়।