নিজস্ব প্রতিবেদন : বাটলার-স্টোকসের অনবদ্য লড়াই থামিয়ে বুমরার দুরন্ত বোলিংয়ের সৌজন্যে ট্রেন্ট ব্রিজে তৃতীয় টেস্ট জয় থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে বিরাটের টিম ইন্ডিয়া। পাঁচ টেস্টের সিরিজে ভারত ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে। সিরিজে লড়াইয়ে ফিরতে বিরাট কোহলির দলকে জিততেই হবে এই টেস্ট। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে জয়ের গন্ধ পাচ্ছে ভারতীয় শিবির। পঞ্চম দিনে এক উইকেট তুলে নিলেই সিরিজে প্রত্যাবর্তন করবে বিরাট বাহিনী। কোহলিদের দরকার মাত্র একটি উইকেট৷ জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ২১০ রান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন - তিন অজি অধিনায়ককে ভোকাট্টা বিরাটের! ইংল্যান্ড কোচ বললেন 'কোহলির থেকে শেখো'


তৃতীয় টেস্ট জিততে ইংল্যান্ডের সামনে ৫২১ রানের টার্গেট দিয়েছে বিরাট বাহিনী। ক্রিকেট ইতিহাসে পাঁচশো রান তাড়া করে টেস্ট জয় কখনও ঘটেনি৷ আর সেটা হলে ক্রিকেট ইতিহাসে নজির গড়বে ব্রিটিশরা। দ্বিতীয় ইনিংসে পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের শুরুতেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে ধস নামান ইশান্ত শর্মা৷ দিনের প্রথম ওভারেই জেনিংস ও তৃতীয় ওভারে কুককে সাজঘরের রাস্তা দেখান তিনি৷ এরপর রুট ও ওলি পোপের উইকেট তুলে নেন বুমরাহ ও শামি৷ লাঞ্চ বিরতিতে ৮৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে তখন চাপে ইংল্যান্ড৷



লাঞ্চের পর ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে অসামান্য প্রতিরোধ গড়লেন জোস বাটলার-বেন স্টোকস জুটি। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি। পঞ্চম উইকেটে ১৬৯ রানের জুটি তখন পাল্টা চাপে ফেলে দিয়েছিল ভারতকে। ১০৬ রান করে বুমরাহর শিকার হলেন বাটলার।



বাটলার ফিরতেই বুমরাহের দাপটে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং৷ আঙুলে চোট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে কোনও রান করেই বুমরাহর বলে বোল্ড হলেন জনি বেয়ারস্টো। যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও ৬২ রানে থামতে হল ব্রিটিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে। ওকস-ব্রডকেও সাজঘরে ফেরালেন সেই বুমরাহই। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান। ৩০ রানে ব্যাটিং করছেন আদিল রশিদ। সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন অ্যান্ডারসন। 



চোট সারিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেই পাঁচ উইকেট নিলেন বুমরাহ। এদিন রুট, বাটলার, বেয়ারস্টোর মতো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিলেন৷ প্রথম ইনিংসে হার্দিক পান্ডিয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও পাঁচ উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ।  এক উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের এখনও দরকার ২১০ রান৷ জয় থেকে এক উইকেট দূরে দাঁড়িয়ে বিরাটের ভারত।