দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: আইপিএলের টিকিট বণ্টনে গড়মিল-সহ একাধিক আর্থিক বিষয় নিয়ে একের পর এক প্রশ্নের মুখে ক্রিকেট অ্য়াসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল! বৃহস্পতিবার সন্ধে-রাতে বঙ্গজ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ওরফে সিএবি-র কার্যালয় ইডেন গার্ডেন্স রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠল। খোদ প্রিন্সিপাল অডিটর জেনারেল সতীশ কুমার গর্গ বাধ্য হয়ে আসেন সিএবিতে অ্যাপেক্স কমিটির সঙ্গে বৈঠক করতে। সাম্প্রতিক অতীতে, বারবার তিনি সিএবি-র কাছে বিভিন্ন অসঙ্গতির ব্য়াপারে জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েও কোনও সদুত্তর পাননি। তাই তিনি নিজেই এদিন চলে আসেন সিএবি-তে। সঙ্গে করে নিয়ে আসেন চারপাতার একটি চিঠিও। এমনকী বিশেষ আমন্ত্রণে ডেকে আনা হয়েছিল প্রাক্তন সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'আমার চেয়ে ১০০০ গুণ...'! বুমরাকে নিয়ে কপিলের চাঞ্চল্যকর বয়ান, ধেয়ে এল সুনামি




সতীশ সেই বিগত এপ্রিল-মে মাস থেকেই সিএবি-কে বারবার চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন যে, ইডেনে যখনই কোনও আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ম্য়াচ হয়, তখন ১২ হাজার করে টিকিটের কেন হদিশ পাওয়া যায় না? সিএবি-র তরফে তাঁকে বলে দেওয়া হয় যে, এই টিকিটের পুরোটাই সভাপতির কোটার। তিনিই এগুলি বণ্টন করেন নিজে হাতে। সতীশ এরপর প্রশ্ন তোলেন তখন, যে সিএবি সভাপতি এই টিকিটগুলি কাকে দেনে, কোথায় যায়? কিসের ভিত্তিতে ক্লাবগুলিকেও টাকা দেওয়া হয়? 



অতীতে বিশ্বকাপ ছাড়াও একাধিক আন্তর্জাতিক ম্য়াচে, সিএবি-র টিকিট নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। সিএবি-র বিভিন্ন স্তরের সদস্য়রাই টিকিট পাননি। কিন্তু চড়া দামে বাইরে সেই টিকিট বিক্রি হয়েছে। যা নিয়ে ২৪ ঘণ্টাও খবর করেছিল গতবছর পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের সময়। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্য়াচের সময়ে টিকিটের দাম ছিল আকাশচুম্বী। তখন বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ বলেছিলেন যে, বিশ্বকাপের এরকম ম্য়াচে কালোবাজারি তো হতেই পারে!


বিসিসিআই ও লোধা কমিটির রায়কে মান্য়তা দিয়ে দেশের প্রতিটি ক্রিকেট বোর্ডের অ্য়াপেক্স কাউন্সিলে একজন করে সিএজি-র মনোনীত সদস্য় থাকেন। অতীতে রণেন্দু সরকার ছিলেন সিএজি-র তরফে। ২০১৯ থেকে এতদিন পর্যন্ত কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। এখন প্রশ্ন উঠছে, এতদিন যিনি ছিলেন, তিনি কী বিষয়গুলি জানতেন না? সতীশ কিন্তু বিভিন্ন বিষয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। যেমন বাংলায় বয়সভিত্তিক কোচ বা রঞ্জির কোচ কোন ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হচ্ছে? কারণ তাদেঁর পারিশ্রমিক দিতে হয়। কোনও নোটিফিকেশন কি দেওয়া হচ্ছে কাগজে? তার কিন্তু কোনও উত্তর সিএবি দিতে পারেনি। বিসিসিআই-এর থেকে প্রাপ্ত টাকা কিসের ভিত্তিতে সিএবি-র বিভিন্ন ইউনিটে অনুদান বাবদ দেওয়া হয়? কারণ অধিকাংশ ক্লাবেরই কোনও এজিএম হয় না?


জি ২৪ ঘণ্টার তরফে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্য়ায়ের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, সৌরভ যখন কমিটিতে নেই, তাহলে তাঁকে কেন ডাকা হল এদিন? যার উত্তরে তিনি বলেছেন যে, এই বিষয়ে তিনি মিডিয়াকে কিছু বলবেন না। তিনি বুঝিয়ে বলেন যে, সিএবি-র গঠনতন্ত্রে অনেক পরিবর্তন আসতে চলেছে। আর্থিক অস্বচ্ছতা এবং টিকিট বণ্টনের বিষয়ে স্নেহাশিস জানিয়েছেন যে, জগমোহন ডালমিয়া ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের সময় থেকে প্রেসিডেন্ট কোটায় টিকিট বণ্টন হয়ে আসছে। স্নেহাশিস এও বলেছেন যে, আবার সতীশ আসতে পারেন এবং প্রশ্ন করতে পারেন। এমনকী বেঙ্গল প্রো-টি ২০ লিগ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।


আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ছিলেন রিজার্ভে, BCCI ফেরত পাঠায় মাঝপথেই, জুলাইয়ে দেশ ছাড়ছেন 'প্রিন্স'!


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)