নিজস্ব প্রতিবেদন- সিরিজটা যেন তাঁর কাছে অগ্নিপরীক্ষার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে তো সিরিজের মাঝেই বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে সিডনি ও ব্রিসবেন, দুই জায়গাতেই বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য সহ্য করতে হয়েছে। ফিল্ডিংয়ের সময় দর্শকদের দিক থেকে উড়ে আসা ওরকম নোংরা শব্দ তাঁর আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু অজি দর্শকদের কার্যসিদ্ধি হয়নি। তাঁরা মহম্মদ সিরাজের আত্মবিশ্বাস টলাতে পারেনি। বরং সিরাজকে আরও শক্তপোক্ত করে গড়ে দিয়েছে। সেই সিরাজ Brisbane Test-এ অজি ব্যাটিং লাইনের কোমর ভেঙে দিয়েছেন একাই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যাক আপ বোলার হিসাবে তিনি Team India-র সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন। কে জানত, সেই সিরাজই অস্ট্রেলিয়াকে এমন নাকানি-চোবানি খাওয়াবেন! অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে Test Series-এর পুরোটা জুড়েই যেন সিরাজ ছড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর বাবা স্বপ্ন দেখতেন, ছেলে একদিন দেশের জার্সি গায়ে টেস্ট খেলবে। বাবার স্বপ্ন বাস্তবের রূপ দিয়েছেন সিরাজ। কিন্তু তাঁর এই প্রাপ্তি যেন কিছুটা ম্লান হয়েছে বাবার মৃত্যুতে। সেই সিরাজ বাবার কথা মনে করে ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন। অভিষেক ম্যাচে সেই সিরাজকেই দর্শকদের কটুক্তি হজম করতে হয়েছিল। কিন্তু এসবই যেন ভারতীয় পেসারকে আরও শক্ত করেছে।


আরও পড়ুন-  Ind vs Aus: টার্গেট ৩২৮, ব্রিসবেনে সিরাজের দাপট, অজি দর্শকদের মুখে আঙুল


ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন সিরাজ। মায়ের সঙ্গে কথা বলার পরই তিনি আলাদা শক্তি ও সাহজ অর্জন করতে পেরেছিলেন বলে জানান। সিরাজ জানিয়েছেন, ম্যাচের আগে মায়ের একটা ফোন কল তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। বাবার শেষ যাত্রায় পাশে থাকতে পারেননি সিরাজ। সেই কষ্ট ও আফসোস তাঁর মুছেছে হয়তো। কারণ, তিনি দেশকে গর্বিত করেছেন। মাও তাঁকে নিয়ে গর্বিত। সিরাজ বলছিলেন, ''মায়ের গলা শোনার পর আলাদা জোর পেয়েছিলাম। ব্রিসবেনে নামার আগে একটু টেনশনে ছিলাম। তবে মাই সাহস জুগিয়েছে। বাবার স্বপ্ন পূরণ করাই আমার লক্ষ্য। বাবার মৃত্যুর পর মনের জোর বজায় রাখা আমার কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে এখন ঠিক আছি।''