নিজস্ব প্রতিবেদন :  ঘরোয়া লিগের প্রথম ম্যাচেই লজ্জার হার মোহনবাগানের। ঘরের মাঠে গতবারের রানার্স পিয়ারলেসের কাছে তিন গোল হজম করতে হল গতবারের চ্যাম্পিয়ন সবুজ-মেরুনকে। শেষ ৮০ বছরের ইতিহাসে এমনটা কখনও হয়নি। রেকর্ড বুকে প্রথম ম্যাচে হারের কথা লেখা থাকলেও তিন গোলে হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়নি।  ডুরান্ডের মিনি ডার্বিতে মহমেডানকে ২-০ গোলে হারিয়ে মরশুমটা দুরন্ত শুরু করেছিল কিবু ভিকুনার দল। কিন্তু ৭২ গণ্টা কাটতে না কাটতেই সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ ঝড় থামিয়ে দিল জহর দাসের দল। বলা ভাল ভিকুনা ব্রিগেডকে মাটিতে নামিয়ে আনল পিয়ারলেস। পুরনো দলের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে ম্যাচের সেরা ক্রোমা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



গতবছর লিগে পিয়ারলেসের কাছে আটকে গিয়েছিল মোহনবাগান। সেবারও গোল করেছিলেন ক্রোমা। সোমবার পুরনো দলের বিরুদ্ধে ফের একবার জ্বলে উঠলেন সেই লাইবেরিয়ান স্ট্রাইকার। রক্ষণের ভুলের ডুবতে হল মোহনবাগানকে। খেলার ২১ মিনিটেই ক্রোমার গোলে এগিয়ে যায় পিয়ারলেস। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া মোহনবাগান কোচ দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া পরিবর্তন করেন।নামিয়ে দেন ইমরান আর নাওরেমকে। কিছুক্ষণের মধ্যে সালভার জোরালো হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে দুই মিনিটের ব্যবধানে পিয়ারলেসের জোড়া গোলের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি মোহনবাগান। দুটো গোলের ক্ষেত্রেই বাগান ডিফেন্সের ভুল স্পষ্ট। প্রথমে পঙ্কজজ মৌলার পাস থেকে লক্ষ্মীকান্ত মান্ডির গোল আর তারপর শিল্টল পাল ও অরিজিত্ বাগুইয়ের ভুল বোঝাবুঝি থেকে ক্রোমার দ্বিতীয় গোল। তবে খেলার ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি নষ্ট করেন সালভা চামারো।



মিনি ডার্বিতে জোড়া গোল করে বাগান সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে ওঠা সালভা চামারো সোমবার কার্যত ভিলেন বনে গেলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে। গোটা ম্যাচে পিয়ারলেস ডিফেন্সে বোতলবন্দি হয়ে থাকলেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকারটি। পেনাল্টি থেকে গোল নষ্ট করা নয়। কোমরে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে সালভার চোট গুরুতর নয় বলেই ধারণা বাগান টিম ম্যানেজমেন্টের। সালভার মতোই এদিন খারাপ খেলে বাগান ডিফেন্স আর গোলকিপার শিল্টন পাল। মোরান্তে না খেলায় বেরিয়ে আসে বাগান ডিফেন্সের ভগ্নসার অবস্থা। পরিস্থিতি যা তাতে পরের ম্যাচেই দলে আমূল পরিবর্তন করতে হতে পারে কিবু ভিকুনাকে। 


আরও পড়ুন - Durand Cup 2019: মঙ্গলবার ডুরান্ডে ইস্টবেঙ্গলের সামনে জামশেদপুর এফসি