Mohammedan Sporting, CFL 2022: ইমামি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে `মিনি ডার্বি` ড্র হলেও ফের কলকাতা লিগ মহামেডানের
Mohammedan Sporting, CFL 2022: প্রিয় ক্লাবের জয় দেখার জন্য মাঠে উপস্থিত ছিলেন অগণিত মহামেডান সমর্থক। চ্যাম্পিয়ন দলের জয় উদযাপন করার জন্যই যে মাঠে ভক্তরা এসেছিলেন তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু তাদের প্রথমার্ধে স্তব্ধ করে দেয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল।
ইমামি ইস্টবেঙ্গল – ১ (বিবেক সিং)
মহামেডান স্পোর্টিং– ১ (ফজলু)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পরপর দু’বার কলকাতা লিগ (Calcutta Football League) জিতল মহামেডান স্পোর্টিং (Mohammedan Sporting) ক্লাব। মঙ্গলবার লিগের শেষ ম্যাচে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (Emami East Bengal) বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। গত রবিবার ভবানীপুর বনাম এরিয়ানের ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। আর সেই ফলাফলের পরেই নিশ্চিত হয়ে যায় যে, ফের ট্রফি যাচ্ছে ময়দানের আর এক প্রধানে। সব মিলিয়ে মোট তেরো বার কলকাতা লিগ জিতল মহামেডান। যদিও এদিন লাল-হলুদের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার 'মিনি ডার্বি' ১-১ ফলাফলে শেষ হয়। এর আগে ১৯৪০ ও ১৯৪১ সালে পরপর দু’বছর কলকাতা লিগ জিতেছিল মহামেডান।
শেষ ম্যাচ খেলতে নামার আগে লিগ জিতে গেলেও, এদিন শুরুতে গোলের মুখ খুলতে পারেনি সাদা-কালো বাহিনী। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে ফজলু সাদা-কালো ব্রিগেডের সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান। ওসমানের হেড থেকে যখন ফজলু বলটা পেলেন তখন তিনি অরক্ষিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠান্ডা মাথায় ইমামি ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়ান তিনি। ফলে এগিয়ে থেকেও ম্যাচটা জিততে পারল না বিনো জর্জের লাল-হলুদ।
আরও পড়ুন: Paul Pogba, FIFA World Cup Qatar 2022: বড় ধাক্কা খেল ফ্রান্স, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন পল পোগবা
আরও পড়ুন: ATK Mohun Bagan: সরছে এটিকে? মোহনবাগানে ৫ সদস্যের কমিটি, প্রয়োজনে আইনি পরামর্শও!
প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই গোল আর ধরে রাখা গেল না। ফজলু সমতা ফেরালেন খেলার একেবারে শেষ লগ্নে। তার পরে কেউ আর গোল করতে পারেনি। ফলে টানা দু’ বার কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হল মহামেডান স্পোর্টিং। প্রিয় ক্লাবের জয় দেখার জন্য মাঠে উপস্থিত ছিলেন অগণিত মহামেডান সমর্থক। চ্যাম্পিয়ন দলের জয় উদযাপন করার জন্যই যে মাঠে ভক্তরা এসেছিলেন তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু তাদের প্রথমার্ধে স্তব্ধ করে দেয় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। অরক্ষিত বিবেক সিং গোল করে এগিয়ে দেন লাল-হলুদকে। তাঁকে কেউ মার্কিংয়ে ছিলেন না।
মহামেডানের ‘তুরুপের তাস’ অধিনায়ক মার্কাস জোসেফ। মার্কাস জোসেফকে বিপজ্জনক দেখায়নি। অনেকটা নীচে নেমে খেলছিলেন তিনি। সতীর্থদের বল বাড়াচ্ছিলেন ঠিকই কিন্তু তাতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি বক্সে বিপদ তৈরি হয়নি। কলকাতা লিগে গত ম্যাচগুলোয় ইমামি ইস্টবেঙ্গলের খেলা সেভাবে নজর কাড়েনি। এদিনের আগে তিনটি ম্যাচ বিনু জর্জের কোচিংয়ে খেলেছিল লাল-হলুদ শিবির। দুটি ম্যাচ ড্র করেছিল। আর একটিতে হেরে গিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। সমালোচিত হচ্ছিলেন কর্তারা। এই ম্যাচ জিতে কিছুটা হলেও সম্মান পুনরুদ্ধার করতে পারত ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেটা হল না। অন্যদিকে 'মিনি ডার্বি' জিতে মহামেডানের কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।