East Bengal: ঘরের মাঠে কুয়াদ্রাতের সামনে আবেগের মহাবিস্ফোরণ, ৫-১ গোলে রেলকে হারিয়ে বেলাইন করল লাল-হলুদ
চলতি লিগের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই মাঠে পৌঁছে যান কুয়াদ্রাত। ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্য দেবব্রত সরকার তাঁদের লাল-হলুদ উত্তরীয় পড়িয়ে স্বাগত জানান। এরপর হেড কোচ এবং সহকারী কোচ ক্লাবের ড্রেসিংরুমে ফুটবলারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং উৎসাহিত করে শুভেচ্ছা জানান।
ইস্টবেঙ্গল: ৫ (আমন সিকে ২, দীপ, গুইতে, রাজিবুল)
ইস্টার্ন রেল: ১ (দিব্যেন্দু)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ম্যাচে বিএসএস-এর কাছে আটকে গেলেও, ঘরের মাঠে নামতেই জয়ের সরণীতে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। তাও আবার চার বছর ঘরের মাঠে নেমেই জয়ের মুখ দেখল লাল-হলুদ। বৃহস্পতিবার ইস্টার্ন রেলওয়ে-কে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিল বিনো জর্জের ছেলেরা। এদিন ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দলের ফুটবলারদের উজ্জীবিত করতে ক্লাব তাঁবুতে সহকারী কোচ দিমাস দেলগাদোকে নিয়ে এসেছিলেন দলের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর সামনে গত ম্যাচ ড্র করলেও, এবার কিন্তু নিজেদের মাঠে গোলের ঝড় তুলে দিল লাল-হলুদ। আমন সিকে ছাড়াও গোল পেলেন আমন ছাড়াও গোল পেলেন অভিষেক কুঞ্জুম, গুইতে ভানলালপেকা এবং রাজিবুল।
ম্যাচে জোড়া গোল করেন আমন। তবে দুর্বল প্রতিপক্ষ ইস্টার্ন রেলের কাছেও গোল হজম করে চিন্তায় থাকবে দলের রক্ষণ। ম্যাচের প্রথম থেকেই দাপট ছিল লাল হলুদের। ২১ মিনিটে দীপ সাহার গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধেই গোল করেন গুইতে ও আমন। ৩-০ এগিয়ে থেকে বিরতির পর খেলা শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য গোল করেন ইস্টার্ন রেলের দিব্যেন্দু। তবে আমন আর রাজিবুলের গোলে জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল।
শুরু থেকে আগ্রাসী খেলতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। ২০ মিনিটের মাথায় রেলের বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। গত ম্যাচে একই জায়গা থেকে গোল করেছিলেন দীপ সাহা। এ দিন তাঁর ফ্রিকিক ক্রসবারে লাগে। ফিরতি বল জালে জড়ান অভিষেক।
আরও পড়ুন: Asian Games 2023: এশিয়াডের ড্র হয়ে গেল! সুনীল-সন্দেশদের লড়াই কাদের সঙ্গে?
চার মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়াতে পারতেন তিনি। প্রতি আক্রমণ থেকে তাঁর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান গুইতে। বক্সের বাইরে থেকে আলগা বল পেয়ে ভালো শটে গোল করেন মণিপুরের ফুটবলার। প্রথম গোলের পর থেকেই গ্যালারিতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল। তা আরও বাড়ে দ্বিতীয় গোলের পর। উড়তে থাকে আবির। উৎসব সেখানেই থামেনি। ৩৬ মিনিটে দলের তৃতীয় গোল করেন আমন সিকে। ডান দিক থেকে দৌড়ে দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিয়ে গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের পায়েই। গুইতের কাছে আরও একটু সুযোগ এসেছিল গোল করার। তবে পারেননি। এর মাঝেই ব্যবধান কমান ইস্টার্ন রেলের সাগর কুমার। কিন্তু সেই গোলেও লাভ হয়নি। ৭৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আমন। কুশ ছেত্রীর সঙ্গে পাস খেলে গোলকিপারের পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান। ম্যাচ শেষের তিন মিনিট আগে বিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেন রাজিবুল মিস্ত্রি।
এদিকে চলতি লিগের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই মাঠে পৌঁছে যান কুয়াদ্রাত। ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্য দেবব্রত সরকার তাঁদের লাল-হলুদ উত্তরীয় পড়িয়ে স্বাগত জানান। এরপর হেড কোচ এবং সহকারী কোচ ক্লাবের ড্রেসিংরুমে ফুটবলারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং উৎসাহিত করে শুভেচ্ছা জানান। এরপর বাকিটা সময় কৃশানু দে ভিভিআইপি বক্সে বসে দলের দাপুটে জয় দেখলেন নতুন স্প্যানিশ কোচ। আর তাঁর সামনেই মাঠে ঘটল আবেগের মহাবিস্ফোরণ। উড়ল লাল-হলুদ আবির। ময়দানের আবেগের পরিবেশ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন একটা সময় লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনায় কাজ করার এই কোচ।