নিজস্ব প্রতিবেদন- কোনো কিছুই যেন তাঁর জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে না। তিনি জীবনটাকে বড় করে ভাবেন। ক্রিকেটার বলে তাঁর জীবন যে শুধু ক্রিকেটেই আটকে থাকবে, সেটা ভাবাই বোকামি। জীবনবোধ ক্রিস গেলের কাছে অন্যরকম। একটাই জীবন। তাও আবার এত ছোট! সেখানে কোনও একটা ইস্যু নিয়ে মন খারাপ করে বসে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। এবারের আইপিএলে পাঞ্জাবের হয়ে এখনো একটি ম্যাচেও নামেননি ক্রিস গেইল। টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে ছাড়াই বারবার প্রথম একাদশ সাজাচ্ছে। সাতটি ম্যাচ খেলে ফেলল পাঞ্জাব। ক্রিস গেইলকে ছাড়া। ক্রিস গেইলের মতো টি-টোয়েন্টি তারকাকে বসিয়ে রেখে পাঞ্জাবের খুব একটা লাভ হয়নি। আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলে এখন তারা সব থেকে নিচে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ম্যাচেও কলকাতার বিরুদ্ধে হাইভোল্টেজ ম্যাচে হেরেছে পাঞ্জাব। গেইল এই ম্যাচেও খেলেননি। তার আগের ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গেইলের নামার কথা ছিল বলে জানিয়েছিলেন পাঞ্জাবের কোচ অনিল কুম্বলে। তিনি জানিয়েছিলেন, খাবারে বিষক্রিয়ার জন্য হঠাৎ করেই গেইলের শরীর খারাপ হয়ে যায়। না হলে তাঁকে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে খেলানো হত। গেইলের শরীর এতটাই খারাপ হয়েছিল যে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। হাসপাতালের বেডে শুয়েও ক্রিস গেইলের জীবনের রং পাল্টায়নি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে ওষুধ, ইনজেকশন, পরীক্ষার ভয়ে মানুষের হাত-পা কাঁপতে শুরু করে। সেখানে শুয়ে দিব্যি চিল করেছেন ক্যারিবিয়ান দৈত্য।



হাসপাতালের বেডে শুয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন গেইল। তাঁর হাতে কাঁচের গ্লাস ধরা। দুচোখে শসার টুকরো। মুখে গাজরের টুকরো রাখা{ আর বাঁ হাতে ধরে রয়েছেন ফোনের রিসিভার{ কে বলবে তিনি অসুস্থ! কে-ই বা বলবে ওটা হাসপাতালের বেড! ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন-এ গেইল লিখলেন, ''আমি আপনাদের একটা কথা বলতে পারি। কখনো লড়াই না করে হারব না। আমি ইউনিভার্স বস। আর এটা কখনো বদলাবে না। আপনারা চাইলে আমার থেকে কিছু শিখতে পারেন। তাই বলে আমি যা করছি সেটাই নকল করতে হবে, এমন কোনো ব্যাপার নেই! তবে আমার স্টাইল ও চমক মনে রাখবেন। আপনাদের সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ।''