সুখেন্দু সরকার


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পারথে বিরাট কোহলি কি সেঞ্চুরি পাবেন? গোয়াংঝৌতে ব্যাডমিন্টনের ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালে কি পিভি সিন্ধু খেতাব জিততে পারবেন? পাঁচ রাজ্যের বিধানভায় বিজেপির ধাক্কা, কিংবা আম্বানি কন্যা ঈশার রিসেপশনে কত খরচ হল? এই সব আলোচনা ভুলে রবিবার রেড রোডে শীতের সকালে ম্যারাথনে দৌড়ে বাঙালি মাতবে তাদের দেড়শ বছরের ঐতিহ্যের বড় ম্যাচ নিয়ে। যা বাঙালির চিরকালীন ফুটবল আবেগ। মাছে-ভাতে বাঙালির শিরা-উপশিরায়, হাসি-কান্নায়, সুখে-দুঃখে বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হয়ে আষ্টে-পিষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে ঘটি-বাঙালের চিরন্তন ফুটবল আবেগ-সাধের বড় ম্যাচ।


আরও পড়ুন - কোলাডো, কালো-পর্দায় লুকোচুরি লাল-হলুদের, ডার্বিতে ৩ পয়েন্ট চাই স্প্যানিশ কোচের


ডাঙায় ইলিশ-চিংড়ির যুদ্ধ ঘিরে আজও মেতে ওঠে এ বঙ্গ। স্বাধীনতার আগে, সেই ১৯২৫ সাল থেকে শুরু বড় ম্যাচের ইতিহাস। রবিবার ৩৬৬তম কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। পরিসংখ্যান বলছে, জয়ের দিক থেকে এগিয়ে লাল-হলুদ। যেখানে ১২৭ ম্যাচে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল সেখানে মোহনবাগান জিতেছে ১১৮ ম্যাচে আর ড্র হয়েছে ১২০ বার। ১৬ ডিসেম্বর আই লিগের ৪৩ তম ডার্বি। আগের ৪২ বারের মধ্যে ১৫ বার জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। এক ম্যাচ কম জিতেছে মোহনবাগান। ড্র হয়েছে ১৩ বার। রবিবার বিকেল পাঁচটায় শুরু মহারণ।


আরও পড়ুন - বড় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকেই এগিয়ে রাখছেন 'প্রথম ডার্বি' খেলতে নামা শঙ্করলাল, কোলাডোকে নিয়ে চিন্তা বাগানে!


এখন আর সত্তর বা আশির দশকের মতো অত কথার লড়াই নেই। যা আছে সেটাও পরতির দিকে। জমানা বদলেছে- টেলিফোন থেকে এখন ট্যাব আই আই ফোন। এখন কথার লড়াই চলে ফেসবুকে। বাঙালির ফুটবল আবেগ আজ সেলফিতে বন্দি। সময় বদলেছে, বদলেছে অনেক কিছুই। শুধু বদলায়নি বড় ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা-আবেগ আর একে অপরকে টিপ্পনি কাটা। হয়তো তার প্রকাশ বদলেছে। আজ হয়তো অনেকেই একে বলবেন কলরব। রবিবার বাঙালির ফুটবলের 'হোক কলরব'! ৯০ মিনিটের ফুটবল দ্বন্দ্বে দ্বিধাবিভক্ত বাংলার ডেস্টিনেশন যুবভারতী। লাল-হলুদ কিংবা সবুজ-মেরুন সমর্থকদের 'ষোলকলা' পূর্ণ হওয়ার দিন যেন ১৬ ডিসেম্বর। বিজয় দিবসে বাংলা ফুটবলের রঙ কি? উত্তর পাওয়া যাবে রবি বিকেলের যুবভারতীতে।