নিজস্ব প্রতিবেদন: রাশিয়ার টেনিসের গ্ল্যমার গার্ল মারিয়া সারাপোভা বলেছিলেন, তিনি সচিন তেন্ডুলকারকে চেনেন-ই না। অক্রিকেটিয় দেশের প্রধান বারাক ওবামা পর্যন্ত স্বীকার করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকারের মহিমা। অথচ নিজে ক্রীড়াবিদ হওয়া সত্ত্বেও সচিনের মতো কিংবদন্তিকে চিন্তা না পারার কথা বলায় সারাপোভাকে নিয়ে জোর বিতর্ক হয়েছিল। তখন সারাপোভার হয়ে ব্যাট ধরে অনেকে বলেছিলেন রাশিয়া ক্রিকেট খেলা হয় না। তাই মারিয়ার এমন মন্তব্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু এবার বাইশ গজের খেলাকে বরণ করে নিল সারাপোভারই দেশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দীর্ঘ ষোলো বছর লড়াইয়ের পর অবশেষে  সাফল্য। ক্রিকেটে সরকারি সিলমোহর দিল   ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ রাশিয়া। এই স্বীকৃতির ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা অর্থাৎ    আইসিসির অনুমোদিত সব টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে রাশিয়া। করোনা ভাইরাসের জন্য  গোটা বিশ্বজুড়ে যখন থমকে যাওয়ার খবর, সেই সময় রাশিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার খবরটি ক্রিকেট বিশ্বে নিঃসন্দেহে বড় খবর।


ক্রিকেট দুনিয়াতে রাশিয়ার পথ চলা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। বোর্ডের নামকরণ করা হয় রাশিয়া ক্রিকেট। ২০১২ সালে আইসিসি-র খাতায় নাম নথিভুক্ত হয় রাশিয়ার। ২০১৩ সালে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অশ্বিনী চোপড়ার হাত ধরে রাশিয়ান ক্রিকেট ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয় । ২০১৭ সালে আইসিসির সহযোগী সদস্য পদ পায় রাশিয়া। ২০১৮ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ছাড়পত্রও দেয়। এত কিছুর পরেও  মিলছিল না সরকারি অনুমোদন। গত বছর ইংল্যান্ডে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ হওয়ার পর ক্রিকেটকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পুতিন সরকারের কাছে আবেদন করে রাশিয়ান ক্রিকেট ফেডারেশন।


আরও পড়ুন- ছোটবেলার নস্টালজিয়া উস্কে দিয়ে প্রকাশ্যে সৃজিতের 'ফেলুদা ফেরত'-এর টাইটেল সং


কিন্তু তা খারিজ করে দেয় পুতিন সরকার। আরও একবার আবেদন করেন রাশিয়ান ক্রিকেট ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট তথা দলের অধিনায়ক অশ্বিনী চোপড়া। এবার আবেদনে সাড়া দিল ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। রাশিয়ার ক্রিকেটে পড়ল সরকারি সিলমোহর। এটাকে রাশিয়ান ক্রিকেট ফেডারেশন যেমন তাদের বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে। তেমনি রাশিয়ার এই পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আঙিনায় ক্রিকেটের কৌলিন্য আরও বাড়ল বলে মনে করে ক্রিকেট বিশ্ব।


উল্লেখ্য, রাশিয়ায় ক্রিকেট খেলা হয় না বলে ‘অজুহাত’ দেখিয়ে সে দিন হয়তো সারাপোভা সমালোচকদের কাছ থেকে পার পেয়ে গিয়েছিলেন, এবার তাঁর দেশই ক্রিকেট সিলমোহর দিল। আশা করা যাচ্ছে ‘ক্রিকেটের ঈশ্বরকে’ নিশ্চিয়ই চিনে নেবেন তিনি।