নিজস্ব প্রতিবেদন : নাটকীয়তা, রোমাঞ্চ- সবকিছুই ছিল শনিবারের সোচিতে। রাশিয়ার স্বপ্ন থামিয়ে বিশ্বকাপের শেষ চারে ক্রোয়েশিয়া। টাইব্রেকারে রাশিয়াকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমি ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া। সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণ আর রাশিয়ার প্রতি আক্রমণে শনিবার ম্যাচের শুরু থেকেই ছড়ায় রোমাঞ্চ। শেষ ষোলোয় টাইব্রেকারে দুই দলের নায়ক দুই গোলরক্ষককেই থাকতে হয় ব্যস্ত। ৩১ মিনিটে চেরিশেভের দূরপাল্লার দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় আয়োজক রাশিয়া। সমতা ফেরাতে বেশি সময় নেয়নি ক্রোটরা। ৩৯ মিনিটে বাঁ দিক থেকে মারিও মানজুকিচের দারুণ ক্রসে হেডে বল জালে জড়ান ক্রামারিচ।


আরও পড়ুন - ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের শেষ চারে ইংল্যান্ড


বিরতির পর আক্রমনে জোর বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া। রক্ষণাত্মক খেলে পাল্টা আক্রমণে জোর দেয় রাশিয়া। তাতে অবশ্য স্কোরলাইনে কোনও পরিবর্তন হয়নি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০০ মিনিটে ভিদার গোলে এগিয়ে যায় ক্রোটরা। অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে গোল করে ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে যায় রাশিয়া। ১১৫ মিনিটে সমতা ফেরান ফের্নান্দেস। এরপর টাইব্রেকারে ম্যাচের ভাগ্যনির্ধারণ হয়।


# টাইব্রেকারে পর পর যা হল :


(১) টাইব্রেকারে রাশিয়ার স্মলভের প্রথম শটই আটকে দেন সুভাসিচ। ব্রজোভিচের গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া।  


(২) রাশিয়ার দ্বিতীয় শট নিতে এসে গোল করতে ভুল করেননি মিডফিল্ডার আলান জাগোয়েভ। এবার আকিনফিয়েভ আটকে দেন কোভাসিচের শট।


(৩) এরপর অতিরিক্ত সময়ে রাশিয়াকে সমতা ফেরানো সেই ফের্নান্দেস পোস্টের বাইরে মারেন শট। লুকা মডরিচের শট পোস্টে লেগে জালে জড়ালে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া।


(৪) ডিফেন্ডার সের্গেই ইগনাশেভিচ রাশিয়ার চতুর্থ শটে গোল করেন। ক্রোয়েশিয়ার ভিদাও গোল করতে ভুল করেনি।


(৫) পঞ্চম শটে দালের কুজিয়ায়েভ গোল করে বাঁচিয়ে রাখেন আয়োজকদের আশা। কিন্তু ইভান রাকিটিচ ঠাণ্ডা মাথায় গোল করে রাশিয়ার স্বপ্ন ভেঙে দেন।


 


১৯৯৮ সালে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিষেকে সেমি ফাইনালে পৌঁছেছিল ক্রোয়েশিয়া। ২০ বছর পর আবার বিশ্বকাপের শেষ চারে ক্রোটরা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার সামনে ইংল্যান্ড।