নিজস্ব প্রতিনিধি : রাতের অন্ধকারে একটা সময় বেরনো মুশকিল ছিল। এখন সেখানে দিন-রাতের ক্রিকেট ম্য়াচ। আজ থেকে বছর কয়েক আগেও এমন স্বপ্ন দেখতে ভয় পেতেন বাসিন্দারা। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি খেলে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখত সেখানকার কচি-কাঁচারা। কিন্তু স্বপ্ন ও বাস্তবের ফারাকটা ছিল বড়সড়। সেই সুকমায় পরিস্থিতি এখন আগের থেকে শুধরেছে। জনজীবনে কিছুটা হলেও এসেছে স্বাভাবিকত্ব। মাও-প্রভাব এখন আর সে অর্থে নেই। তাই সুকমার মানুষ মেতে উঠলেন ছক্কা-চারের আনন্দে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  বাইক দুর্ঘটনা! মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন পাঠান ভাইদের কোচ


সিআরপিএফ-এর তরফে একটি দিন-রাতের ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করেছিল মাও-প্রভাবিত ঝাড়খণ্ডের সুকমায়। জেলা ও অন্যান্য স্থানীয় ফোর্স-এর তরফেও ম্যাচ আয়োজনে পুরোদস্তুর সহযোগিতায় হাত বাড়ানো হয়েছিল। একটা সময় রাতের বেলা বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পেতেন সুকমার বাসিন্দারা। সেই সুকমা, যেখানে মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৫০ নিরাপত্তাকর্মী। সেই সুকমা এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত। সেটাই যেন প্রমাণ করে গেল এই ম্যাচ। বাচ্চাদের নিয়ে আয়োজিত ম্যাচ। এলাকার বেশিরভাগ বাচ্চা জীবনে প্রথমবার রাতের আলোয় খেলল ক্রিকেট ম্যাচ। বিশেষত এই কারণেই উত্সাহ ছিল দ্বিগুণ। ছক্কা-চারের উদ্দীপনায় এক দিনের জন্য হলেও বাসিন্দাদের জীবনে হয়ে উঠল জমজমাট।


আরও পড়ুন-  ভাইরাল বুমরাকে নকল করা বোলারের ভিডিও, ভারতীয় পেসারদের প্রেমে অজি খুদেরা


কোবরা ২০৬ বাহিনির ডেপুটি কমান্ডান্ট রমেশ যাদব জানালেন, এই প্রথমবার সেখানে রাতের বেলা ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজিত হল। স্কুলের বাচ্চা থেকে শুরু করে সাধারণ গ্রামবাসী, সবাই হাজির ছিলেন ম্যাচ দেখতে। ভবিষ্যতে এই ধরণের ম্যাচ আরও বেশি আয়োজন করার কথা বলছিলেন রমেশ যাদব। এদিন ম্যাচ ছিল চিতাগুফা টাইগার্স বনাম চিতাগুফা জাগুয়ার্সের। টাইগার্স জিতল ৩৫ রানে।