ডার্বি ডে! আজ কী কী নিয়ে ঢুকতে পারবেন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে, জেনে নিন
কড়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বিধাননগর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : আজ, রবিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে কলকাতা লিগের ডার্বি ম্যাচ। সেই ম্যাচেই দর্শকরা কী নিয়ে মাঠে ঢুকতে পারবেন, সে বিষয়ে কড়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বিধাননগর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে।
মোবাইল, ম্যাচের টিকিট, মানি ব্যাগ, হেড ফোন এবং মোবাইল চার্জ করার পাওয়ার ব্যাঙ্ক ছাড়া আর কিছু নিয়ে মাঠে ঢুকতে পারবেন না দর্শকরা। সিগারেট, দেশলাই বাক্স, ব্যাগ (অবশ্য তল্লাশির পর মহিলারা হাত ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে পারবেন), জলের বোতল, বাইরের খাবার, ছাতা, বাইকের হেলমেটের মতো সামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিধাননগরের ডিসি (সদর) অমিত জাভালগি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, গতবছর অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ চলাকালীন যা যা নিয়ম স্টেডিয়াম চত্বরে লাগু করা হয়েছিল, সেগুলি সবই এখানে মেনে চলা হবে। ডার্বির জন্য স্টেডিয়াম থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থায় প্রায় তিন হাজার পুলিস মোতায়েন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- এশিয়ান গেমসে পাকিস্তান বধ করল ভারত
খেলা শুরু বিকেল সাড়ে চারটেয়। দর্শকদের মাঠে প্রবেশের ক্ষেত্রে দুপুর আড়াইটে থেকে গেট খুলে দেওয়া হবে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা এক, দুই, পাঁচ নম্বর গেট এবং মোহনবাগান সমর্থকরা তিন, তিন এ, চার নম্বর গেট দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন। যে সমস্ত সমর্থকরা গাড়ি নিয়ে খেলা দেখতে আসবেন, তাঁদের গাড়ি পার্ক করার ব্যবস্থা থাকবে ১৩ নং ট্যাঙ্ক, সুভাষ সরোবর এবং সল্টলেক স্টেডিয়ামের কাছে আমুল আইল্যান্ডের দু’দিকের রাস্তায়। দর্শকদের আসতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে’জন্য বিভিন্ন রুটের বাসকে পাঁচ-সাত মিনিট চালানোর বিষয়ে ইতিমধ্যে পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি স্টেডিয়াম চত্বর থেকে বিভিন্ন দিকে ৩০টি অতিরিক্ত বাসও চালানো হবে। যার মধ্যে উল্টোডাঙ্গা থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত রুটেও বাস চালানো হবে বলেই জানিয়েছে পরিবহণ দপ্তর।
আরও পড়ুন- রবিবারের বড় ম্যাচে গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ে শিষ্যকে 'গুরু' মানছেন সুভাষ
এদিকে, সমর্থকদের মাঠে দলীয় পতাকা বা ফ্লেক্স নিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রেও কিছুটা কড়াকড়ি করা হচ্ছে। পতাকা বা ফ্লেক্স নিয়ে সমর্থকরা মাঠে ঢুকতে পারবেন, কিন্তু সেটি যদি খুব বড় হয় তাহলে তা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। পাশাপাশি পতাকা বা ফ্লেক্সের সঙ্গে কোনও কাঠ বা বাঁশের পোল নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। প্রত্যেক গেটের বাইরে অতিরিক্ত পুলিস বাহিনী মোতায়েন রাখা হবে। মাঠের মধ্যে ব্লকে ব্লকে দর্শকদের সহায়তা করার জন্য লোক থাকবে। সাদা পোশাকেও পুলিস নজরদারি চালাবে। এছাড়া ড্রোণের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে। স্টেডিয়ামে ব্লকে ব্লকে সিসিটিভি ক্যামেরাও রাখা থাকছে। মাঠে হকারদের প্রবেশ নিষিদ্ধই থাকছে। রাম্পের কাছেই খাবার এবং জলের ব্যবস্থা করা হবে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন- ডার্বি জয়ের স্বপ্নে স্বপ্না'ই হাতিয়ার 'বিনয়ের অবতার' শঙ্করের
এদিকে, চিলির প্রতিনিধি ভিসা পাননি বলে ডার্বি শুরুর আগে প্যারাগ্লাইডিং হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইএফএ’র সচিব উৎপল গাঙ্গুলি। ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হবেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি দু’প্রধানের সমর্থকদের আবেদন জানিয়েছেন, ‘উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আবেগতাড়িত হয়ে কেউ যেন স্টেডিয়ামের ক্ষতি না করে।’