খাঁ খাঁ করছে চারিদিক...নববর্ষে নেই বার পুজো; ময়দানের আজ মনখারাপ
অন্যান্যবার অধিনায়ক এর হাত ধরে যেখানে পুজো দেওয়া হয়, সেখানে এই বছর নেই কোনও কর্মকর্তা, নেই ফুটবল অনুরাগী কিংবা ফুটবলারদের ভিড়। ক্লাবগুলোর মূল ফটকের সামনের রাস্তা খাঁ খাঁ করছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বছরভর দলের শুভকামনায় প্রত্যেক বছর পয়লা বৈশাখে বার পুজো হয় ময়দানের বিভিন্ন ক্লাবে। বছরের পর বছর- এই রীতি চলে আসছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের জেরে সেই রীতিতে এবারে ছেদ পড়েছে। মারণ ভাইরাসের জেরে এবার নববর্ষে বন্ধ ঐতিহ্যের বার পুজো।
পয়লা বৈশাখের বার পুজো- নতুন মরশুম শুরুর আগে ফুটবল দলের সাফল্য কামনায় নতুন শপথ নেওয়া হয় নববর্ষের দিন। আসন্ন মরশুমের অধিনায়ককে দিয়ে করানো হয় বার পুজো। ময়দানে ক্লাব তাঁবুগুলো হয়ে ওঠে মিলনক্ষেত্র। আজ সকাল থেকেই অন্য ছবি ময়দানে....
অন্যান্যবার অধিনায়ক এর হাত ধরে যেখানে পুজো দেওয়া হয়, সেখানে এই বছর নেই কোনও কর্মকর্তা, নেই ফুটবল অনুরাগী কিংবা ফুটবলারদের ভিড়। ক্লাবগুলোর মূল ফটকের সামনের রাস্তা খাঁ খাঁ করছে। না আছে কাঁসর-ঘন্টার আওয়াজ, নেই ফুলের গন্ধ, নেই সানাইয়ের সুর, না আছে মানুষের কোলাহল (সমর্থক আর সহকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত ময়দানের সবক্লাবের)।
বাংলা নববর্ষে চিরাচরিত বারপুজো এবং সাজঘরে কালীমাতার পুজো নিঃশব্দে হল মোহনবাগান ক্লাবে। আজ সকালে ক্লাব প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজ্য সরকার নির্ধারিত সামাজিক দূরত্বের বিধি মান্য করে। যদিও সাম্প্রতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাবের সদস্য, সমর্থক এবং পদাধিকারীরা কেউই মাঠে উপস্থিত ছিলেন না।
চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে শুধুই নিস্তব্ধতা.... শুধু রয়েছে শুকনো কিছু ঝরা পাতা আর সেই বোবা ঝরা পাতার বাতাস...নববর্ষের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, মনের খুশি, মুখের হাসি আজ সব কোয়ারেন্টাইনে। বিষাদের সুর, আর এক অসম্ভব শূন্যতায় ময়দানের আজ মনখারাপ...
আরও পড়ুন- লকডাউনে প্রযুক্তির সাহায্যে হয়ে গেল আস্ত একটা ক্যারাটে টুর্নামেন্ট