নিজস্ব প্রতিবেদন :  পেনাল্টি গোলে কোনও রকমে রেনবোর বিরুদ্ধে মান বাঁচাল ইস্টবেঙ্গল। বলা যেতে পারে, রবিবার ঘরের মাঠে রেনবোর বাধা কপালের জোরে টপকালেন সুভাষ ভৌমিকের ছেলেরা। ১-০ গোলে ম্যাচ জিতে কলকাতা লিগের শীর্ষে চলে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন - পুজোর গানে টলি নায়িকাদের সঙ্গে এবার সৌরভ!


রবিবার রাখী পূর্ণিমার দিনে, ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য তেমন গতি ছিল না লালহলুদের খেলায়। যার অন্যতম কারণ অবশ্য ম্যাচের শুরুতে একপশলা বৃষ্টি। বৃষ্টিতে মাঠ ভারী হয়ে গেলেও প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে প্রথম সুযোগ ইস্টবেঙ্গল। ফাঁকায় থেকেও হেডে গোল করতে ব্যর্থ হন জবি জাস্টিন। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সুরাবুদ্দিনকে বক্সে ফাউল করার পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ। রেফারিকে ঘিরে ধরেন রেনবোর ফুটবলাররা। তারা পেনাল্টি নাকচের দাবি করেন। রেফারির পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা হলেও বিতর্ক থেকেই যায়। স্পটকিক থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি চুলোভা।  এক গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে ইস্টবেঙ্গল।



দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য চিত্রটা পুরো উল্টো। শুরু থেকেই উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে শুরু করেন রেনবো। সাত মিনিটের মধ্যে সুজয়ের অবধারিত গোল বাঁচান ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার রক্ষিত দাগার। রেনবোর হয়ে এদিন মাঝমাঠে দাপিয়ে খেলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনী পেন ওরজি। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নজরকারা পারফরমেন্স আল আমনারও। যত সময় গড়িয়েছে আক্রমণে তত চাপ বাড়ায় রেনবো। তবে ম্যাচের ইনজুরি টাইমে দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন পল্টু দাস, গোলকিপারকে একা পেয়েও বাইরে শট মারেন তিনি। ফলে খালি হাতেই ফিরতে হল নিউ ব্যারাকপুরের রেনবো এসি-কে।



তবে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে ছুঁয়ে ফেললেও, গোল পার্থক্যে লিগের শীর্ষে এখন ইস্টবেঙ্গল। তবে ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলের খেলা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন কিন্তু থেকেই গেল। একই রকমভাবে ডিফেন্স নিয়েও দুশ্চিন্তা থাকছে সুভাষ ভৌমিকের।