সুখেন্দু সরকার


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শতবর্ষের উৎসব। শহরে আশির বেতাজ বাদশাহ মজিদ বাসকর। ইস্টবেঙ্গল এর স্পোর্টস ডে তেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে সেই মজিদ। ক্লাবের প্রয়াত সচিব দীপক দাসের জন্মদিন ১৩ অগাস্ট প্রতি বছর ক্রীড়া দিবস হিসেবে পালন করে ইস্টবেঙ্গল। সেই উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে রক্তদান শিবির ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে হাজির থেকে সকলকে উৎসাহিত করে যান মজিদ। 


এদিন দুপুরে ক্লাব মাঠে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে অংশ নেন ক্লাবের হয়ে খেলা বাঙালি ব্রিগেড ও ইস্ট বেঙ্গল এ খেলা ভিন রাজ্যের ফুটবলার রা। বিকেলে লাল-হলুদের সব জীবিত অধিনায়ক এবং কোচদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হল নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে। কে নেই সেখানে। চাঁদের হাট ইনডোরে। শ্যাম থাপা, সঈদ নঈমউদ্দীন থেকে মনোরঞ্জন, ভাস্কর। মেহতাব, খাবরা, নবি, সৌমিক, অর্ণব থেকে সুলে মুসা, আলভিটো যেন তারকার মেলা। 


মঙ্গলবার সকালে মহমেডান ক্লাবে এসে নস্টালজিক মজিদ বাসকার


তার আগে শতবর্ষের মঞ্চেই উদ্বোধন হল ইস্টবেঙ্গলের অফিসিয়াল থিম সঙ। থিম সঙের উদ্বোধন করেন ইস্টবেঙ্গল সভাপতি ডাঃ প্রণব দাশগুপ্ত। প্রখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিং গেয়েছেন লাল-হলুদের এই থিম সঙ। সুর দিয়েছেন অরিন্দম চ্যাটার্জি।গান লিখেছেন রাজা চন্দ এবং প্রসেন।  অরিজিতের সুরেলা গান মাতিয়ে তোলে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম। 


 



দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় পরে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের উৎসবে এসেছেন মজিদ বাসকার। স্বাভাবিকভাবেই এক অন্য মাত্রা পায় আজকের কর্মকাণ্ড। নেতাজী ইন্ডোরে এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মজিদ বাসকারই। ইরানিয়ান ম্যাজিশিয়ানকে সোনার কয়েন উপহার হিসাবে দেওয়া হয়। সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের স্মারক। শিল্পী মেহতাব মন্ডলের আঁকা ছবিও তুলে দেওয়া হয় মজিদের হাতে। শুধু তাই নয় , নিজের দেশ থেকে আনা উপহার ক্লাব কর্তাদের হাতে তুলে দেন মজিদ নিজেও। 


এদিনের অনুষ্ঠানে পরিচালক তরুণ মজুমদার, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও নাট্য শিল্পী রুদ্র প্রসাদ সেনগুপ্ত কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতদিন পর যেন একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল বলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু। সঙ্গে ইমন আর নচিকেতার গান এদিনের অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।