East Bengal: সমর্থকদের আবেগেই সিলমোহর, এবার `ক্রাউডফান্ডিং` করবে লাল-হলুদ!
East Bengal Club Going For Crowdfunding: বিদেশের একাধিক ক্লাব এগিয়ে যায় `ক্রাউডফান্ডিং`-এর হাত ধরে। সভ্য-সমর্থকরা প্রিয় ক্লাবকে সাধ্যমতো অর্থপ্রদান করেন। আর সেই টাকা ব্যবহার হয় ক্লাবের উন্নয়নের জন্য। লাল-হলুদও এবার হাঁটছে সেই পথে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিদেশের একাধিক ক্লাব 'ক্রাউডফান্ডিং' করে। ক্লাবের পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য সেই ক্লাবের সভ্য-সমর্থকরা সাধ্যমতো স্বেচ্ছায় অর্থ দান করেন। সেই অর্থে ক্লাব বিভিন্ন ভাবে এগিয়ে যায়। লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইস্টবেঙ্গলও (East Bengal) হাঁটুক 'ক্রাউডফান্ডিং'-এর পথে। অনুরাগীদের আবেগের ক্লাবের প্রতি এমনই আবদার ছিল। আর সমর্থকদের ইচ্ছাকেই সিলমোহর দিল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। বুধের বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন যে, এবার ইস্টবেঙ্গল হাঁটছে বিদেশি ফুটবলের চেনা পথে। কর্মসমিতির সভায় সর্বসম্মত ভাবে সমর্থকদের অর্থে তহবিল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল চাইছে সকলে এগিয়ে এসে অর্থ দিক।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'আপনারা সবাই জানেন, অতিমারী কালে আমাদেরকে বিভিন্ন দিক থেকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তার মধ্যে দিয়েও আমরা আমাদের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি আইএসএল-এও অংশগ্রহণ করেছি। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পৃথিবী তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সভ্য-সমর্থকরা লিখছেন, বেশ কিছু শুভানুধ্যায়ী-সভ্য সমর্থকেরা ক্লাবে এসে বলছেন এমনকী গত পরশু দিনও একদল সভ্য সমর্থক ক্লাবে এসে একই কথা জানিয়েছেন, কিংবা দূরভাষের মাধ্যমে আমাদের পরামর্শও দিচ্ছেন, বিদেশের ক্লাবগুলোর মতো কেন আমাদের ক্লাবেও 'ক্রাউডফান্ডিং' করা হচ্ছে না। তাদের বক্তব্য ক্লাব তো তার পরিকাঠামো, স্পোর্টস ও ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট এর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে একটা ফান্ড তৈরি করতেই পারে। এই কিছুদিন পূর্বে আমরা যখন উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলাম ক্লাবের নামে রাস্তা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে, তখনও আমাদের কাছে এক ঝাঁক সমর্থক এই একই অনুরোধ করে। সবার অনুরোধ-পরামর্শকে মাথায় রেখে কর্মসমিতির সভায় সর্বসম্মত ভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, যারা অর্থ দিতে ইচ্ছুক তারা যেন আমাদের এই নিম্নে লিখিত ব্যাংক আকাউন্টে, যার যা সামর্থ সেটি দিয়ে আগামী দিনে ক্লাবের পরিকাঠামো, স্পোর্টস ও ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি 'ফান্ড' তৈরি করি। এর মধ্যে যখন যেক্ষেত্রে প্রয়োজন ভিত্তিক অর্থ ব্যয় করা হবে। যে বা যারা এই অর্থ দান করছেন, ক্লাবের তরফ থেকে তাদেরকে শংসাপত্র প্রদান করা হবে। সকল ইস্টবেঙ্গল প্রেমীদের কাছে আমাদের এই আবেদন রইলো 'ক্রাউডফান্ডিং' এর ক্ষেত্রে তারা সর্বতো ভাবে এগিয়ে আসুন। বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে তাদের ইচ্ছা আমরা দেখে এসেছি বলে, আমরা উৎসাহিত হয়েছি এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।'
আরও পড়ুন: Emiliano Martinez Kolkata Tour: শহরে মেসির আদেরর 'দিবু', কোথায় কোথায় যাবেন, কী কী করবেন তিনি?
'ক্রাউডফান্ডিং'-এর ক্ষেত্রে একটি বিষয় রয়েছে। ইস্টবেঙ্গল যেহেতু বিনিয়োগকারীদের হাত ধরে আইএসএল খেলে, সেহেতু এখন বিনিয়োগকারীদের উপরেই নির্ভর করছে যে, সেই সংস্থা লাল-হলুদ সমর্থকদের তৈরি তহবিলের টাকায় হাত দেবে কিনা! অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল যে বিবৃতি দিয়েছে, তার একদম নীচের দিকে ডান দিকে ব্যাংক ডিটেইলস রয়েছে। সেখানে একটি ভুল হয়ে গিয়েছে। অ্যাক্সিস ব্যাংকের টলিগঞ্জ শাখার ইন্ডিয়ান ফিনান্সিয়াল সিস্টেম কোড ওরফে আইএফএসসি কোড দেওয়া রয়েছে। তবে আইএফএসসি-র (IFSC Code) বদলে লেখা হয়েছে আইএফসি কোড (IFC Code)।