জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কলকাতা লিগ (CFL 2024) জিততে না পারে, তাহলে তা অস্বাভাবিক বলেই ধরে নেওয়া হবে। বিনো জর্জের ছেলের, ঘরোয়া লিগের শুরু থেকে একটাই বার্তা দিয়েছে যে, তাঁরা লিগ জেতার দাবিদার। শুক্রবার ঘরের মাঠে আগুনে ফুটবল খেলে  মশালবাহিনী চলে গেল লিগের সুপার সিক্সে। অপরাজিত তকমা ধরে রেখেই গ্রুপ শীর্ষে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাব। এদিন লাল-হলুদের দাপটে ৩-০ গোলে উড়ে গেল কলকাতা পুলিস (East Bengal vs  Calcutta Police Club)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সুপার সিক্সের রাস্তা আগেই বন্ধ হয়েছিল, এবার সবুজ-মেরুন হারল কালীঘাটের কাছে!


দুই অর্ধ মিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল তিন গোল করল। তবে গোলের সংখ্য়া বাড়তে পারও আরও বেশ কয়েক'টি। দ্বিতীয়ার্ধে জেসিন টিকে পেনাল্টিতে গোলের সুযোগ হাতছাড়া না করলে নিশ্চিন্তেই ব্য়বধান ৪-০ হতে পারত। ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে ৫ মিনিটের মধ্য়ে এগিয়ে দেন সুনীল বাথালা। অন্ধ্রপ্রদেশের ডিফেন্ডার হীরা মণ্ডলের ভাসানো সেন্টারে লাফিয়ে হেড করে পুলিসের গোলরক্ষক তুহিন দে'কে একেবারে নীরব দর্শক বানিয়ে দেন। তবে তুহিন এগিয়ে না থাকলে হয়তো ফ্লাইট বুঝতে পারতেন। বিরতিতেই ইস্টবেঙ্গল ২-০ এগিয়ে যায়। তন্ময় দাসের বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে জোরাল শট তুহিনের হাতে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।


দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে। লাল-হলুদের মিডফিল্ডার কুশ ছেত্রীকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। যার জেরে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও গোল করে ফেলেছিলেন আগে। কিন্তু রেফারি পেনাল্টিই দেন ইস্টবেঙ্গলকে। জেসিনের পেনাল্টি রুখে দেন তুহিন। লাল-হলুদের তৃতীয় গোলটি আসে সায়নের পা থেকে। জেসিনের পাস থেকে সায়ন ৩-০ করে দেন। পুলিসকে হারিয়ে ইস্টবেঙ্গলের ঝুলিতে ১২ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট চলে এল। সমান ম্য়াচ খেলে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দুয়ে ভবানীপুর।


আরও পড়ুন: হাফ ডজন ডার্বি! সৌভিক খুশি তিন প্রধানের উপস্থিতিতেই, হেক্টর বাছলেন সেরা ডিফেন্ডার