নিজস্ব প্রতিবেদন: ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) এবং বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) মধ্যে চুক্তি জটিলতা অব্যাহত। চিঠি এবং পাল্টা চিঠির এক অনন্ত খেলা চলছে যেন! ইস্টবেঙ্গলের বক্তব্য তারা একবারও বলেনি যে, শ্রী সিমেন্টের চুক্তিপত্রে সই করবে না। তাদের মতে সেই চুক্তিপত্রে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকার জন্য তারা পিছিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙুরের দাবি যে, প্রাথমিক ও চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে কোনও ফারাক নেই। তাঁর সাফ বক্তব্য, আগে সই। পরে বাকি কথা! এখন লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ঐতিহ্যবাহী ক্লাব এবং বিনিয়োগকারী সংস্থার অবস্থান ঠিক এই জায়গায়!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইস্টবেঙ্গলের দাবি শ্রী সিমেন্টের চুক্তিপত্র যদি মোহনবাগান-এটিকে মডেলে হতো, তাহলে লাল-হলুদের সই করতে কোনও আপত্তিই থাকত না। অন্যদিকে হরিমোহনের সংস্থার যুক্তি ইস্টবেঙ্গলকে মার্জ করা এবং টেক ওভারের মধ্যে ফারাকটা বুঝতে হবে। যেহেতু শ্রী সিমেন্ট প্রথম থেকেই টেক ওভারের পথে হেঁটেছে সেহেতু তাদের চুক্তি কখনই মার্জ করার মতো হতে পারে না। পরিস্থিতি এখন এমন জায়গায় গিয়েছে যে, হরিমোহন বাঙুর চাইছেন যে চুক্তি জটিলতা না মিটলে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হতে পারেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই ক্লাব ও বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রাথমিক চুক্তিপত্রে সই হয়েছে।


আরও পড়ুন: IPL 2021: মরুদেশেই আয়োজিত হবে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচে, ঘোষণা BCCI-এর


এখন পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে করে হয়তো এই জটিলতা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীকেই আসরে নামতে হতে পারে। কারণ একবার ইস্টবেঙ্গল এবং শ্রী সিমেন্টের মধ্যে একাধিক চিঠি আদানপ্রদান হওয়ার পরেও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। আগামী ফুটবল মরসুম শুরু হওয়ার আগে যদি চুক্তি জটিলতা না মেটে তাহলে কিন্তু ইস্টবেঙ্গল শ্রীসিমেন্টকে হারাতে পারে। সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কিন্তু আইএসএল খেলা কার্যত অসম্ভব হয়ে যাবে। এখন দেখার পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে মোড় নেয়। তবে ইস্টবেঙ্গল যে কার্যত চাপে রয়েছে সে কথা বলাই যায়!