EBvsMB: টানটান খেলা হলেও অমীমাংসিত রইল বছরের প্রথম কলকাতা ডার্বি
এদিনের ম্যাচের পর ৮ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট দাঁড়াল ২০। ওদিকে সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্টও একই। তবে গোলসংখ্যায় এগিয়ে থাকায় লিগ টেবিলের শীর্ষে রইল মোহনবাগানই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। টানটান উত্তেজনা। দু গোলে পিছিয়ে পরেও দুরন্ত কামব্যাক ইস্টবেঙ্গলের। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলেই অমীমাংসিত রইল বছরের প্রথম কলকাতা ডার্বি। এদিন ইস্ট বেঙ্গল ও মোহন বাগান, দু'দলের খেলোয়াড়রাই সমানে সমানে টক্কর দেন।
এদিন প্রথমে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন পিন্টু মাহাতো। ম্যাচের ১৯ মিনিটে লাল হলুদের জালে বল জড়ান তিনি। ১০ মিনিট সবুজ মেরুনের পক্ষে ব্যবধান বাড়ান হেনরি কিসোকো (২৯')। ম্যাচে যখন মোহনবাগান জাঁকিয়ে বসেছে তখনই প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গোল করে ব্যবধান কমান লাল হলুদের বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্তা। প্রথম ম্যাচেই গোল করে দলকে বিপদের হাত থেকে বাঁচালেন তিনি। আর শেষ পর্যন্ত ওই গোলটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল বলে মনে করছেন ইস্ট-মোহন দুদলেরই কোচ। ম্যাচ শেষে সেটাই একবাক্যে মেনে নিলেন বাস্তব রায় থেকে শঙ্করলাল চক্রবর্তী।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে গোল পেয়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো আক্রমণে জোর বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ৬১ মিনিটে কর্নারে শিল্টনের সেভ করা বল পালটা কিকে জালে জড়ান লাল হলুদের লালডানমাইরা রালতে। এদিকে সম্ভবত কেরিয়ারের শেষ ডার্বিতে পরিবর্ত হিসেবে নেমেও দু মিনিটের বেশি মাসে থাকতে পারলেন না মেহেতাব হোসেন। বাঁ হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে মেহেতাবের। সম্ভবত লিগে আর খেলতে পারবেন না তিনি। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত দু'দলই একাধিক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি কেউ। ফলে ম্যাচ শেষ হয় ২-২ গোলে।
এদিনের ম্যাচের পর কলকাতা লিগে ৮ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট দাঁড়াল ২০। ওদিকে সম সংখ্যক ম্যাচ খেলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্টও একই। তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় লিগ টেবিলের শীর্ষে রইল মোহনবাগানই। ম্যাচের সেরা হয়েছেন মোহনবাগানের পিন্টু মাহাতো।