নিজস্ব প্রতিনিধি : শুটিং তাঁর নেশা। সঙ্গে পেশাও বটে। কিন্তু বন্যপ্রাণ তাঁর ভালবাসা। তাই সময় পেলেই ছুটে যান বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে গিয়ে শুধু ছবি তোলাটা তাঁর উদ্দেশ্য নয়। বরং সেই সংরক্ষিত এলাকার আশেপাশে থাকা মানুষকে সচেতন করাটা লক্ষ্য। প্রথম ভারতীয় হিসাবে পিস্তল শুটিংয়ে বিশ্বের এক নম্বরে পৌঁছেছিলেন। সেই হিনা সিন্ধু এবার কথা বললেন বন্যপ্রাণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  আর কোনও ছবিতেই সই করছেন না অনুষ্কা! গুঞ্জন, বাবা হচ্ছেন বিরাট


মহারাষ্ট্রের নারখাদক বাঘিনী অবনিকে গুলি করে মারার ঘটনায় বিতর্ক শুরু হয়েছে নানা মহলে। আদালতের আদেশে ওই বাঘিনীকে গুলি করা হয়েছে বলা হলেও আদালতের সেরকম কোনও নির্দেশ ছিলই না বলে অভিমত অনেকের। পূর্ব মহারাষ্ট্রের ইয়াভাটমাল জেলার ত্রাস ওই বাঘিনীকে গত শুক্রবার ভোররাতে গুলি করে হত্যা করা হয়। অভিযোগ, ২০১৬ সাল থেকে বাঘিনীটি মোট ১৪ জনকে হত্যা করেছে। অবনির ১০ মাসের দুটি বাচ্চা রয়েছে। এরকম নৃশংসভাবে জাতীয় পশুর হত্যা নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন মহল থেকে সরকারের এমন পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। সবার একই প্রশ্ন, কেন অচেতন করে বাঘটিকে বন্দি করা হল না! অবনির মৃত্যুর পর দেশে আরও একটি বাঘের হত্যা হয়েছে। কেন বারবার বন্যপ্রাণীদের উপর এরকম নৃশংস হত্যালীলা চালাচ্ছে মানুষ! এই নিয়েই কথা বলছিলেন হিনা। তিনি বললেন, ''সময় পেলেই বিভিন্ন সংরক্ষিত এলাকায় যাই আমি। সেখানকার স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলি। বেশিরভাগ সময়ই আমার মনে হয় স্থানীয় মানুষদের ঠিকঠাকভাবে শিক্ষিত করা উচিত।''


আরও পড়ুন-  ‘বিরাট ফেডেরারের ফ্যান, তাঁরও উচিত দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া’


হিনা সিন্ধু ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছিলেন, ''ব্যাঘ্র সংরক্ষণের এলাকাগুলোতে গিয়ে বারবার দেখেছি সাধারণ মানুষ সেখানে প্রবেশ করে ফেলে। কখনও কাঠ কাটবে বলে, কখনও অন্য কিছু বন থেকে সংগ্রহ করবে বলে। জিপের আওয়াজ পেলেই ওরা দৌড় লাগায়। এভাবে গভীর অরণ্যে বাঘের এলাকায় প্রবেশ করলে আসলে দোষটা কার! এর পর যদি বাঘ হামলা করে তা হলে মানুষ তাকে পিটিয়ে বা গুলি করে মারবে। আমার মনে হয় এক্ষেত্রে বনবিভাগকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার আগে স্থানীয় মানুষকে বোঝাতে হবে, এভাবে বাঘের এলাকায় প্রবেশ করলে আখেরে ওদেরই ক্ষতি। স্থানীয় মানুষকে এই ব্যাপারে শিক্ষিত করে তুলতে পারলে বাঘের উপর মানুষের হামলা অনেকটা কমতে পারে।''