East Bengal: ইস্টবেঙ্গলে ট্রফি ঢুকতেই ইমামির বিরাট বার্তা! মশালের লেলিহান শিখায় এবার অগ্নিশপথ
Emami Says They Will Continue To Support East Bengal FC: সাময়িক ফলে নয়, দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য়েই পাখির চোখ ইমামি। লাল-হলুদের ইনভেস্টররা জানিয়ে দিলেন যে, তাঁরা থাকছেন ক্লাবের সঙ্গেই... লিখে দিলেন `জয় ইস্টবেঙ্গল`।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০২২ সালের অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের স্মরণীয় ঘটনা। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে, সাংবাদিক বৈঠক করে, আনুষ্ঠানিক ভাবে ইস্টবেঙ্গল-ইমামির (Emami East Bengal FC) একসঙ্গে পথ চলা শুরু হয়েছিল। যদিও সেই বছর মে মাসে, নবান্ন থেকে লাল-হলুদের নতুন ইনভেস্টর হিসেবে ইমামির নাম ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দেখতে ইস্টবেঙ্গল-ইমামির পার্টনারশিপ প্রায় দু'বছর হতে চলল। লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ঐতিহ্য়বাহী ক্লাবের সঙ্গে ভারতের বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের যুগলবন্দিতে এতদিন পর্যন্ত সেরা সাফল্য বলতে ডুরান্ড কাপের ফাইনালই ছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা আগেই, ভুবনেশ্বরে দাউদাউ করে লাল-হলুদ মশাল জ্বলেছিল।
আরও পড়ুন: East Bengal: ১২ বছর পর ট্রফি লাল-হলুদের, ওড়িশাকে হারিয়ে সুপার কাপ, করে দেখালেন কুয়াদ্রাত
২০১২ সালে শেষবার ফেডারেশন কাপ জেতা শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব ২০২৪ সালে এসে জিতল কলিঙ্গ সুপার কাপ। গত রবি সন্ধ্য়ায় কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে কার্লেস কুয়াদ্রাতের শিষ্য়রা, অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো খেলায়, ৩-২ গোলে হারিয়েছেন সের্জিও লোবেরাদের। আর এর সঙ্গেই সারা পৃথিবীর কোটি কোটি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের হাসি-কান্না মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। লাল-হলুদে ট্রফি ঢুকতেই ইমামির চিঠি চলে এল সাংবাদিকদের কাছে। সেই প্রেস বিবৃতিতে ইমামির দুই ডিরেক্টর আদিত্য় বর্ধন আগরওয়াল ও মণীশ গোয়েঙ্কা সাফ জানিয়ে দিলেন যে, ইস্টবেঙ্গলের হাত ছাড়ছে না ইমামি। এই ইনিংস আরও দীর্ঘায়িত হবে।
প্রেস বিবৃতিতে লেখা হল, 'আমরা দলের জন্য় ভীষণ খুশি হয়েছি। গতকাল কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে ইমামি ইস্টবেঙ্গল দারুণ পারফরম্য়ান্স করে, ট্রফি জিতেছে। এটা খুবই গর্বের বিষয় আমাদের শহর কলকাতার জন্য়। অবশ্য়ই যাঁরা ফুটবল ভালোবাসেন, তাঁদের জন্যও বিরাট মুহূর্ত এবং এই আইকনিক ঐতিহ্য়বাহী ক্লাবের জন্যও। আমাদের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি আমাদের সমর্থন থাকবে পর্দার আড়াল থেকেই। ইমামি গোষ্ঠীর লক্ষ্য়ই হচ্ছে ইস্টবেঙ্গেলর অতীতের গৌরব পুনরুদ্ধার করে লক্ষ লক্ষ সমর্থকদের প্রাপ্য আনন্দের দিন উপহার দেওয়া। ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের জন্য ইমামির দীর্ঘমেয়াদী ভাবনাই রয়েছে। স্বল্পমেয়াদী ফলাফলের কথা না ভেবে, ভবিষ্যতের জন্য় দীর্ঘমেয়াদী ভাবনায় বিশ্বাসী আমরা। তৃণমূল পর্যায়ে আমরা বিনিয়োগ করেছি ফুটবলের বিকাশ এবং তারুণ্যকে কেন্দ্র করেই। আমরা বিশ্বাস করি যে এই পথই পার্থক্য তৈরি করেছে এবং দলে গরিমা আনছে। ডুরান্ড কাপের ফাইনাল এবং এই সুপার কাপ জয় প্রমাণ করে দিল যে আমরা সবাই সঠিক পথে এগিয়েই যাচ্ছি। আমরা কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাব, যাতে লক্ষ লক্ষ সমর্থক সত্যিকারের আনন্দ পান। জয় ইস্টবেঙ্গল।' ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টররা বুঝিয়ে দিলেন যা বোঝানোর।
আরও পড়ুন: Jannik Sinner: অস্ট্রেলিয়ান ওপেন পেল নতুন মুখ, পিছিয়ে পড়েও মেদভেদেভকে মাত সিনারের