Enzo Fernandez | Kylian Mbappe: `ফাইনালে ওর সঙ্গে ঝগড়া করেছিলাম ঠিকই, তবুও বলব এমবাপে অসাধারণ`
Enzo Fernandez opens up on altercation with Kylian Mbappe during World Cup final: বিশ্বকাপ ফাইনালের ঘোর এখনও চোখে লেগে আছে আর্জেন্টিনার ফুটবলার এনজো ফার্নান্ডেজের। এবার চেলসির ফুটবলার মুখ খুললেন ফাইনালে এমবাপের সঙ্গে বিবাদের ঘটনা নিয়ে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চেলসির (Chelsea) মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্ডেজ (Enzo Fernandez) এখনও ভুলতে পারেননি কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল (FIFA World Cup Final 2022)। আর সেই ম্যাচে ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপের (Kylian Mbappe) সঙ্গে মাঠের মধ্য়েই কথা কাটাকাটি হয়েছিল এনজো ও কিলিয়ানের। সম্প্রতি এক আর্জেন্তাইন মিডিয়ায় এনজো মুখ খুলেছেন সেই ঘটনা নিয়ে। তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, আমি এমবাপের সঙ্গে ঝগড়া করেছিলাম বিশ্বকাপ ফাইনালে। কিন্তু আমি কাউকে বলতে পছন্দ করব না যে, সেদিন মাঠে কী হয়েছিল। কারণ আমি যা বলেছিলাম, তার আজ আর কোনও গুরুত্ব নেই। এমবাপে অসাধারণ প্লেয়ার। ও সকলের কাছে দৃষ্টান্ত।'
বুয়েনস আইরেসের সেন মার্টিনে জন্মানো এনজো নীল-সাদা জার্সিতে (সিনিয়র টিম) অভিষেক করেন গতবছরই। পরিবর্ত হিসাবে হন্ডুরাসের বিরুদ্ধে নেমেছিলেন ম্যাচে। আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে সেই ম্যাচ জিতেছিল। এনজো দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ খেলেছেন মেসিদের সঙ্গে খেলার আগে। কাতার বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে মরণ-বাচঁন ম্যাচ ছিল তাঁর জীবনের পঞ্চম আন্তর্জাতিক আউটিং। গোটা টুর্নামেন্টেই অসাধারণ খেলে এনজো বিশ্বকাপের সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছিলেন।
মারাদোনার দেশের বিখ্যাত ক্লাব রিভার প্লেট, সেখানকার অ্যাকাডেমি গ্র্যাজুয়েট এনজো। ২০১৯ সালে সিনিয়র দলের হয়ে খেলা শুরু করেন। এরপর দুই মরসুমের জন্য লোনে চলে যান আর্জেন্টিনার অপর ক্লাব ডিফেনসা ওয়াই জাস্টিসের হয়ে খেলতে। সেখানে গিয়ে জেতেন কোপা সুদামেরিকানা ও রিকোপা সুদামেরিকানা। ২০২১ সালে রিভার প্লেটে ফিরে আর্জেন্টাইন প্রিমিয়র ডিভিশন খেতাব জেতেন এনজো। হয়ে ওঠেন ক্লাবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ২০২২ সালে এনজো চলে আসেন পর্তুগালে। পর্তুগিজ প্রিমিয়র লিগ দল বেনফিকাতে নাম লেখান। বিশ্বকাপের পর এনজো ১০৭ মিলিয়ন পাউন্ডে চেলসিতে আসেন। ২০৩১ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি হয়েছে।
লুসেল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের ফয়সলা হয়েছিল পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেখানে আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসে। আর এই ম্যাচে সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েও ট্র্যাজিক নায়ক হয়ে থেকে গিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe)। গোটা আর্জেন্টিনা দলের বিরুদ্ধে একজন মাত্র লড়েছিলেন। তিনি এমবাপে। ফুটবল ইতিহাসে এমবাপের লড়াইয়ের কথা সোনার হরফে লেখা থাকবে। এমবাপে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। এর সঙ্গে পেনাল্টি শ্যুটআউটেও করেছিলেন গোল।