নিজস্ব প্রতিবেদন- পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি। আমরা তো ছোট থেকে এই কথাই শুনে এসেছি, তাই না! সত্যিই কি শুধু পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি! পরিশ্রমের সঙ্গে ভাগ্যের জোর প্রয়োজন হয় না! ক্রিকেট হোক বা বাস্তব জীবন, শুধু পরিশ্রমে কোনো লাভ নেই। তবে হ্যাঁ, মেধাযুক্ত পরিশ্রমের মূল্য আছে। আর জীবনে সফল হতে গেলে পরিশ্রমের সঙ্গে লাক ফ্যাক্টর অবশ্যই প্রয়োজন। না হলে হাজার পরিশ্রমও বিফলে যেতে পারে। ঠিক যেমনটা হয়েছে জিম্বাবোয়ের এই জনপ্রিয় ক্রিকেটারের সঙ্গে। মাঠে তাঁর পরিশ্রমের অভাব ছিল না। তবুও শেষ পর্যন্ত যতটুকু সাফল্য তাঁর পাওয়ার কথা ছিল, ততটুকু পেলেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সচিন তেন্ডুলকরের মতো গ্রেট ব্যাটসম্যানকে তিনি তিনবার আউট করেছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে ১০০, ওয়ানডে-তে ৮০ এবং টি-২০ ক্রিকেটে ১৩টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এমন ক্রিকেটারকে কিনা এখন এসি সারানোর মেকানিক হিসাবে কাজ করতে হচ্ছে! জিম্বাবোয়ের বাঁ-হাতি স্পিনির রে প্রাইস (Ray Price)-এর জীবনে হঠাত্ করেই অন্ধকার নেমে এসেছে। ২০১১ সালে রে প্রাইস মুম্বইয়ের হয়ে আইপিএলেও খেলেছেন। এমন ক্রিকেটারের কি না শেষমেশ এই পরিণতি! অনেকেই এখন আর তাঁর দুরাবস্থার কথা জানেন না। কেউ খোঁজও নেন না সেভাবে। তিনি অতি সাধারণভাবে জীবন কাটাচ্ছেন। 


আরও পড়ুন-  বিদ্যুতের বিল দেখে ঘাম ছুটে গেল হরভজন সিংয়ের


২০১৩ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন রে প্রাইস। তার পর ছোট্ট একটি খেলার সরঞ্জাম বিক্রির দোকান খুলেছিলেন। সেই ব্যবসা তেমন চলেনি। তবে তিনি সেই ব্যবসা বন্ধও করেননি। খেলার জগতের মানুষ ওই দোকান এখনও চালান। কিন্তু সেইসঙ্গে এসি সারানোর মেকানিক হিসাবে কাজ করেন লোকের বাড়ি গিয়ে। খোদ সচিন তেন্ডুলকর তাঁর বোলিংয়ের প্রশংসা করতেন। এমনকী সচিনের সঙ্গে তাঁর বন্ধু্ত্বও ছিল। ভারতে খেলতে এসে দারুন এক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন রে প্রাইস। তিনি বলছিলেন, ''টেস্ট খেলতে দিল্লিতে গিয়েছিলাম। ম্যাচের দুদিন আগে দিল্লির চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম ঘুরতে। ওখানে যিনি হাতিদের দেখভাল করেন তিনি হঠাত্ এগিয়ে এসে বলেন, স্যর আমার ছেলে বাঁ-হাতি স্পিনার। ও আপনার বড় ভক্ত। ওই অভিজ্ঞতা কখনও ভুলব না।"