গৌতম ভট্টাচার্য  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাত্র কয়েক মাস আগেই চলে গিয়েছিলেন শেন ওয়ার্ন (Shane Warne)। এ বার চলে গেলেন তাঁর এক সময়ের প্রিয় সতীর্থ অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস (Andrew Symonds)। মাত্র এক মাস ১০ দিনের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়া (Cricket Australia) দুই ক্রিকেট নক্ষত্রকে হারাল। অনেকের মতে সাইমন্ডস চোখ বুঝতেই চাপা পড়ে গেল সেই কুখ্যাত ‘মাঙ্কিগেট’ বিতর্ক (Moneky Gate Inciedent)। তবে ২০০৮ সালের সিডনি টেস্ট শুরু হওয়া সেই বিতর্ক নিয়ে এখনও আলোচনা হয়। সেই কেলেঙ্কারিতে এক দিকে ছিলেন হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। আর এক দিকে ছিলেন সদ্য প্রয়াত সাইমন্ডস। ওই ঘটনার পর থেকে বহু বার বহু জায়গায় দু’জনেই মুখ খুলেছেন। বিতর্ক তখনকার মতো মীমাংসা হলেও, রেশ থেকে গিয়েছে এখনও। অনেকেই বিশ্বাস করেন, মাঙ্কিগেট বিতর্কের জন্যই সাইমন্ডসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন শেষ হয়ে যায়। এ বার তাঁর বিদায়বেলায় সুদূর ব্রিসবেন থেকে জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর গৌতম ভট্টাচার্যকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সেটাই বলে দিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও টিভি অ্যাঙ্কর রবার্ট ক্রাডক (Robert Craddock)। 



গৌতম ভট্টচার্য: ক্র্যাস, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে ডিন জোন্স, রডনি মার্শ, শেন ওয়ার্ন এবং এবার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। 


রবার্ট ক্র্যাডক: এটা অবিশ্বাস্য। চার জনই ক্রিকেটের প্রকৃত এন্টারটেনার। কিংবদন্তি, প্রতিবাদী চরিত্র। অস্ট্রেলীয়রা যাঁদের নিয়ে গর্ব করে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম এই চার জন। ক্ষতটা খুব গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী। 


গৌতম ভট্টাচার্য: এই ক্ষতিতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কমিউনিটির কী প্রতিক্রিয়া। বিশেষ করে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের বয়স যখন  মাত্র ৪৬ বছর। গাড়ি চালানোর সময় কি অ্যালকোহলের প্রভাবে ছিলেন? 


রবার্ট ক্র্যাডক: ওহঃ। তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে রাস্তাটার আলো ঠিক ছিল না। রাস্তাটাও খুব ভাল ছিল না। বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল। রাত সাড়ে দশটা। ও দিনে মদ খেত বলে আমার জানা নেই। আমি জানি, সঙ্গে ওর কুকুর ছিল। একটা বীভত্স দৃশ্য় তৈরি হয়। 



গৌতম ভট্টাচার্য: মাঙ্কিগেটের জন্য সাইমন্ডসের ক্রিকেট কেরিয়ার ভারতের কাছে খুব তাত্পর্যপূর্ণ। অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার আধুনিক ক্রিকেট ইতিহাসে এর কী প্রতিক্রিয়া। মাঙ্কিগেট নিয়ে চূড়ান্ত অবস্থান কী? 


রবার্ট ক্র্যাডক: অবস্থান এটাই, হরভজন সিং যে দুর্ব্যবহার করেছিল তার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের যেভাবে সাইমন্ডসের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল, তা করেনি। ভারত সফর বাতিল করে দিতে পারে এই চাপে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড সাইমন্ডসের পাশ থেকে সরে যায়। অস্ট্রেলিয়া বোর্ড তাঁকে ঠকিয়েছে, এমনটা মনে করে সাইমন্ডস। এই ঘটনার পর বেশ কিছু মানুষ ও কর্তৃপক্ষের উপর বিশ্বাস হারায় সাইমন্ডস। ও নিজেও স্বীকার করেছিল, ঘটনার পর প্রচুর মদ্যপান শুরু করেছিল। এটা ওর উপর এবং অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের উপর একটা ক্ষত তৈরি করেছিল। 


গৌতম ভট্টাচার্য: শুনেছি, রিকি পন্টিং-সহ সিংহভাগ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার এখনও বিশ্বাস করেন যে হরভজন সিং আসলেই এটা বলেছিলেন। 


রবার্ট ক্র্যাডক: হ্যাঁ, ওরা এখনও বিশ্বাস করে। তবে এটা সত্যি যে হরভজন এবং অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস একে অন্যের বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহার করেনি এবং পরে আইপিএল-এ একই দলে খেলেছে। কিন্তু ক্ষতটা ক্ষতই। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড সম্পর্কে সাইমন্ডসের মনোভাবের কোনও পরিবর্তন হয়নি। 



গৌতম ভট্টাচার্য: আপনি বলছেন যে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড ওর পাশে দাঁড়ায়নি বলে মাঙ্কিগেট বিতর্কের পর আর আগের মতো ছিল না?


রবার্ট ক্র্যাডক: এটা ঠিক। ওদের (ক্রিকেট বোর্ড) আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত ছিল এবং সেই মতো সিদ্ধান্ত নিতে হত। কিন্তু অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভয় ছিল, সফর বাতিল করে দিতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সফর বাতিল করলে বড় আর্থিক ধাক্কা হতে পারত। ফলে সফর বাতিল হলে সেটা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে মেনে নেওয়া কঠিন ছিল।


আরও পডুন: Andrew Symonds Death: উন্মত্ত ভক্তকে সেবার তাড়া করে মাঠ ছাড়া করেছিলেন সাইমন্ডস-WATCH


আরও পড়ুনAndrew Symonds Death: 'সাইমন্ডস আঙ্কেল'-এর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন Yuzvendra Chahal


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)