মাত্র এগারো বছর বয়সে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স আর ১২ বছর ৭ মাস বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন সের্গেই আলেকজান্দ্রোভিচ কারিয়াকিন। সবচেয়ে কম বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার সেই রেকর্ড আজও অক্ষুন্ন। কীভাবে? কলকাতায় টাটা স্টিল চেস টুর্নামেন্টে খেলতে আসা সেই সের্গেই কারিয়াকিনের নানা কথা উঠে এল একান্ত সাক্ষাত্কারে। মুখোমুখি সুখেন্দু সরকার...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৯০ সালে ইউক্রেনে জন্ম হলেও পরে ২০০৯ সালে পাকাপাকিভাবে রাশিয়ায় চলে আসেন সের্গেই কারিয়াকিন। ২০০৪ সালে চেস অলিম্পিয়াডে ইউক্রেনের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সের্গেই। ২০১০ সালে চেস অলিম্পিয়াডে ব্যক্তিগত সোনাও জেতেন তিনি। আর ২০১৩ সালে ওয়ার্ল্ড টিম চেস চ্যাম্পিয়নশিপেও রাশিয়ার হয়ে সোনা জিতে নেন সের্গেই কারিয়াকিন। ২০১৬ সালে ওয়ার্ল্ড চেস চ্যাম্পিয়নশিপ ক্ল্যাসিক্যালে ম্যাগনাস কার্লসেনের সঙ্গে ৬-৬ গেমের পর শেষে টাইব্রেকারে হেরে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট হাতছাড়া করেন। ক্যাসিক্যাল চেসের পাশাপাশি র‌্যাপিড চেস এবং ব্লিটজেও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন তিনি। ২০১৬ সালে জিতে নেন ওয়ার্ল্ড ব্লিটজ চেস চ্যাম্পিয়শিপও। প্রথমবার ভারতে খেলতে এসে বেশ উচ্ছ্বসিত ২৮ বছর বয়সী রুশ দাবাড়ু।  


প্রশ্ন: আপনি বিশ্বের কনিষ্টতম দাবাড়ু। কিভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন?
সের্গেই কারিয়াকিন : দাবাড়ু হিসেবে নিজের মানসিক দৃঢ়তা বজায় রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেটা না থাকলে হয়তো কোনও কিছুই সম্ভব হত না আজকে।


প্রশ্ন: কতটা কঠিন ছিল কনিষ্ঠতম গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া?
সের্গেই কারিয়াকিন : এতটা সহজ ছিল না ওই বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়াটা। আমার যতটুকু মনে পড়ে তখন কাজটা কিন্তু বেশ কঠিনই ছিল।


প্রশ্ন: ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার প্রজ্ঞানন্দন রমেশ বাবু প্রায় আপনার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছিল, তবুও ১৬ বছর ধরে একটা রেকর্ড অক্ষত রয়েছে। অনুভূতিটা কেমন?
সের্গেই কারিয়াকিন : আমি মনে করি এটা ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই হয়তো আজও রেকর্ডটা রয়ে গেছে। প্রজ্ঞানন্দন (কনিষ্ঠতম ভারতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার ১২ বছর ১০ মাস ১৯ দিন) আর আমার বয়সের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য ছিল না। আমার মনে হয়, আগামিদিনে হয়তো কেউ রেকর্ডটা ভেঙে দেবে। এখনও রেকর্ডটা ভাঙতে পারেনি কেউ আমি লাকি।


প্রশ্ন: আপনার মতে কঠিন প্রতিপক্ষ কে?    
সের্গেই কারিয়াকিন : আমার তো মনে হয় বিশ্বনাথন আনন্দ।


প্রশ্ন: বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে আপনি তো ম্যাগনাস কার্লসেনের বিরুদ্ধেও খেলেছেন, সেটা কি কঠিন ছিল না?
সের্গেই কারিয়াকিন : আমি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে(২০১৬)কার্লসেনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলাম ঠিকই। কিন্তু টাটা স্টিল চেস টুর্নামেন্টে বিশ্বনাথন আনন্দকে হারানোই আমার চ্যালেঞ্জ।


আরও পড়ুন - শহরে দাবা-সম্রাট আনন্দ, প্রথমবার ৬৪ খোপে লড়বেন 'বন্ধু' সূর্যশেখরের সঙ্গে