নিজস্ব প্রতিনিধি— ওই ব্যাট দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর সেই ইনিংস এখনও প্রতিটি বাংলাদেশী ক্রিকেট সমর্থকের চোখের সামনে ভাসে! সেই ব্যাট নিলামে তুলেছিলেন মুশফিক। উদ্দেশ্য মহত্। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদের পাশে থাকতে চান এই দুঃসময়। তাই ওই ব্যাট নিলামে তুলে বিক্রি করে যে অর্থ উঠবে তা তিনি দুঃস্থদের সাহায্যে লাগাবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু ভাল কাজে বাধা দেওয়ার লোকের তো আর অভাব নেই। এখানেও তাই হল। কোথা থেকে সেই ব্যাট কিনতে হাজির হলেন সানি লিয়ন। আর তার পরই ভেস্তে গেল নিলাম পর্ব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুশফিকের ব্যাটের নিলামের মূল্য অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছে গেলে আয়োজকরা বুঝতে পারেন, কিছু একটা গণ্ডগোল হচ্ছে। একটা সময় সেই ব্যাটের মূল্য গিয়ে দাঁড়ায় ৪০ লাখ টাকায়। আর ব্যাটের ক্রেতা হিসাবে দেখা যায় সানি লিয়নের নাম ভাঁড়িয়ে অংশ নেওয়া একজনকে। তখনই আয়োজকরা বুঝতে পারেন, ভুয়া ক্রেতা এসে ভিড় করেছেন বিড—এ। মুশফিকুরের ওই ব্যাটের ভিত্তিমূল্য ছিল ছলাখ টাকা। ব্যাট নিলামে কিনতে মোট ৫৩টি বিড জমা পড়ে। সর্বোচ্চ বিড ওঠে ৪১ লাখ টাকা। তবে বিড—এ অধিকাংশ ভুয়া ক্রেতা। তাই নিলাম পর্ব বন্ধ করতে বাধ্য হন আয়োজকরা। জানা গিয়েছে, এমন ঘটনার পর মন খারাপ হয়েছে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুরের।


আরও পড়ুন— সচিনকে নিয়ে এই প্রথম কোনও পাকিস্তানি এমন কথা বললেন, জিতলেন হৃদয়


বাংলাদেশে এই প্রথম কোনও ক্রিকেটারের সরঞ্জাম অনলাইন নিলামে উঠেছিল। কিন্তু ৪০ মিনিটের মধ্যে নিলামের অঙ্ক ২২ লাখ টাকায় পৌঁছে যায়। এর পর আয়োজকরা সিদ্ধান্ত নেয়, এককালীন দশ হাজার টাকার বেশি বিড করা চলবে না। তবুও ভুয়া ক্রেতাদের ভিড় আটকানো যায়নি। ১০ মে শুরু হয়েছিল বিডিং। নিলামে অংশ নেওয়ার কোনও শর্ত ছিল না। যে কেউ চাইলে অংশ নিতে পারতেন। আর এমনটা করেই কাল হল!