নিজস্ব প্রতিবেদন— দিয়েগো মারাদোনার কেরিয়ার তখন প্রায় শেষের দিকে। একবার তিনি খেলতে গিয়েছিলেন রোসারিওর ক্লাব নিউয়েলস ওল্ড বয়েজ—এ। সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকরা তাঁকে শ্রেষ্ঠ ফুটবলার বলে অভিহীত করেছিলেন। মারাদোনা বিরোধিতা করে বলেছিলেন, আমার থেকে সেরা ফুটবলার রোসারিওে খেলে গিয়েছেন। ওর নাম হল কার্লোভিচ। শুধু মারাদোনা নয়, অনেকেই কার্লোভিচকে সর্বকালের অন্যতম সেরা আর্জেন্টাইন ফুটবলার বলতেন। আর্জেন্টিনার ১৯৭৮ বিশ্বকাপজয়ী কোচ সেজার লুইস মেনোত্তিও বলতেন, কার্লোভিচ তাঁর দেখা অন্যতম সেরা ফুটবলার। হোসে পেকারম্যানের মতো কোচের মুখেও কার্লোভিচের প্রশংসা শোনা যেত হামেশাই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিউ ইয়র্ক কসমস ক্লাবে কার্লোভিচের সঙ্গে খেলতে চেয়েছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলে। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এমন একজন কিংবদন্তি ফুটবলারের পরিণতি হল কি না এমন করুণ! শেষ পর্যন্ত চোরের হাতে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হল কার্লোভিচকে! আসলে তিনি গোটা জীবনটাতেই বিস্মৃতির আড়ালে থাকতে চেয়েছিলেন। স্বেচ্ছা নির্বাসন বলা চলে। কেন তাঁর এই মুখ ফিরিয়ে থাকা, কে জানে! এমনকী নিজের শহর রোসারিওর বাইরে বেরোতে বললেও যেন তাঁর গায়ে জ্বর আসত।  আর তাই কার্লোভিচের মৃত্যুও হল যেন নিভৃতে। এত নিভৃতে তাঁর শেষযাত্রা হল যে আর্জেন্টিনার ফুটবল ভক্তরাও মানতে পারছেন না। কার্লোভিচ চলে গেলেন একেবারে শান্তভাবে। নিভৃতে।


আরও পড়ুন— তুমি আমার কাছে AAI, mother's day- তে মায়ের জন্য লিখলেন সচিন


৭৪ বছর বয়সী সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন। এক চোর সাইকেল কেড়ে নিতে চায় তাঁর থেকে। বাধা দেন কার্লোভিচ। হাতাহাতিতে মাথায় চোট পান তিনি। সেই চোট আর সারল না। কার্লোভিচ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা এই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার কিন্তু বড় কোনও ক্লাবে খেলার স্বপ্ন দেখতেন না। কিন্তু রোসারিওর গণ্ডি পেরিয়ে তাঁকে বাইরের দুনিয়ায় নিয়ে যায়, এমন সাধ্য কার ছিল! এসি মিলানের মতো ক্লাবে খেলার প্রস্তাবও হাসিমুখে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ঘরকুনো! আপনভোলা! যা খুশি বলুন! কার্লোভিচের আর কিছুই যায় আসে না।