Wrestlers Protest At Jantar Mantar: `আমি আসছি...`! ময়দানে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত, ঝড় উঠল সোশ্যালে
Farmer Leader Rakesh Tikait Joins Hand With Protesting Wrestlers: কেন্দ্রের আনা তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় গড়ে ওঠা আন্দোলনের `মুখ` তিনি। রাকেশ টিকায়েত নামটাই যথেষ্ট। এবার সেই রাকেশ আসছেন ভিনেশ-সাক্ষীদের হাত শক্ত করতে। ট্যুইট করে কৃষক নেতা জানিয়ে দিলেন যে, তিনি আসছেন ন্য়ায়বিচারের জন্য়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগিররা রাজধানীর রাস্তায় বসে রয়েছেন। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত ধর্না দিচ্ছেন তাঁরা। ন্যায়বিচারের দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে আন্দোলন অব্যাহত ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat), সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik) ও বজরং পুনিয়াদের (Bajrang Punia) মতো চ্যাম্পিয়নদের। তাঁদের দাবি একটাই। গ্রেফতার করতে হবে যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত জাতীয় কুস্তি সংস্থার (Wrestling Federation of India) সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংকে (Brij Bhushan Sharan)। ভিনেশ-সাক্ষীরা আর কিছুই চান না। এসবের মধ্যেই দিল্লি পুলিসের প্রতিরোধ! ভিনেশ-সাক্ষীদের রান্না করার অনুমতি নেই, অনুশীলনের অনুমতি নেই। এমনকী খাবারও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি-র বিরোধীরা কার্যত একজোট। যন্তর মন্তর হয়ে গিয়েছে রাজনীতির আখড়া।
রাজধানীর রাস্তায় বসে ভিনেশ-সাক্ষীরা চোখের জল ফেলছেন। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা একে একে কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। সবার আগে দিল্লির ধর্নামঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দুই সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ও দোলা সেন গিয়ে, বজরংদের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়ে এসেছেন তাঁরা। গত শনিবার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গিয়ে দেখা করেছেন সাক্ষীদের সঙ্গে। এসেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। সোমবার সকালে কংগ্রেস নেতা নভজোত সিং সিধুও এসেছিলেন ধর্না মঞ্চে। এবার আসছেন কৃষক নেতা তথা ভারতীয় কিশান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত। রাকেশ বিগত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুস্তিগিরদের সমর্থনে সরব হয়েছেন। এবার সরাসরি আন্দোলনে শামিল হওয়ার ঘোষণা করলেন রাকেশ। দেশের মানুষ জানেন রাকেশ নামের কী মহিমা! আর চেনা যন্তর মন্তরেই ফের স্বমহিমায় দেখা যাবে রাকেশকে। রাকেশের ট্যুইটের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। অনেকেই লেখেন যে, কুস্তিগিরদের পাশে রাকেশরই অভাব ছিল!
রাকেশ ট্যুইটারে বজরং-ভিনেশ-সাক্ষীর ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, 'যাঁরা বিদেশে তেরঙা তুলে ধরেছেন, দেশকে পদক জিতিয়ে গর্বিত করেছেন, তাঁরাই আজ সম্নানের জন্য লড়াই করছেন। আগামী ২/০৫/২০২৩ তারিখে আমরা দিল্লিতে আসছি। ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে যন্তর মন্তরে যোগদান করব।' রাকেশের নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেদের অধিকার বুঝে নিতেন জানেন তিনি। কেন্দ্রের আনা তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় গড়ে ওঠা আন্দোলনের 'মুখ' তিনি। যে লড়াই তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার কুস্তিগিরদের সঙ্গ দিচ্ছেন তিনি।