নিজস্ব প্রতিনিধি : চেহারা স্বাস্থ্যে তিনি আদ্যপান্ত একজন পুরুষ। কিন্তু মনটা একটু অন্যরকম। তাঁর মধ্যে দয়া, মায়া, মমতা, আচার, আচরণ অনেকটাই মেয়েদের মতো। স্বভাব চরিত্রেও তিনি মেয়েদের সমান। কিন্তু তিনি পুরুষ। আর সে জন্যই নিজের এই সত্ত্বা সব সময় তাঁকে সমাজের কাছে লুকিয়ে রাখতে হয়েছে। কখনও কাউকে জানতে দিতে চাননি যে তিনি পুরুষ শরীরে একজন মেয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  মধুর প্রতিশোধ! বাংলাদেশকে হারিয়ে সাফ খেতাব ভারতের


প্রায় একশোর কাছাকাছি ম্যাচে তিনি রেফারি হিসাবে নেমেছেন। তখন তাঁর নাম ছিল নিক। পুরুষদের ম্যাচে তিনি দক্ষতার সঙ্গে রেফারিং করেছেন একটা সময়। কিন্তু কোথাও যেন মনে শান্তি ছিল না। কারণ, নিজের আসল সত্ত্বাটাকে তিনি সমাজের সামনে তুলে ধরতে পারছিলেন না। শেষমেশ জীবনে একখানা সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন নিক। রূপান্তর করে নিক থেকে হয়ে গেলেন লুসি ক্লার্ক। তবে নিজের পেশা পাল্টাতে চান না তিনি। কারণ, ফুটবল অন্ত প্রাণ ছিল নিক। এবার মেয়েদের ফুটবলে রেফারিং করতে দেখা যাবে লুসিকে। একসময়ের নিক এবার লুসি নামে মাঠে নামবেন। বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম কোনও তৃতীয় লিঙ্গের রেফারি মাঠে নামবেন। ছেলেদের থেকে মেয়েদের ফুটবলে আসতে পেরে লুসি কিন্তু এখন প্রচণ্ড খুশি।


আরও পড়ুন-  ডার্বির আগেই সম্ভবত ইস্টবেঙ্গলে নতুন স্প্যানিশ কোচ!


লুসির তিন সন্তান রয়েছে। মেয়েদের সঙ্গে সঙ্গে লুসি ছেলেদের ম্যাচেও রেফারিং করতে চাইছেন। বলছেন, আশা করব ফুটবল সমর্থকরা আমাকে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেবেন। আমি যা তাই জন্য আমাকে গ্রহণ করবেন। নিজের সত্ত্বাকে জীবনের বেশিরভাগ সময় লুকিয়ে রেখেছি আমি। এতদিন পর নিজেকে মেলে ধরতে পেরে আমার দারুন লাগছে। আমি জানি, মাঠে নামলে অনেক ফুটবল সমর্থক আমাকে টিটকিরি করতে পারেন। আমার সেসব নিয়ে কোনও আক্ষেপ বা অভিযোগ থাকবে না। নিজের কাছে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছি।


২০১৪ সালে ফুটবল অ্যাসোসিয়শেনর তরফে নিয়ম করা হয়েছে, তৃতীয় লিঙ্গের কেউ ফুটবলে আসতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া যাবে না। তাই লুসির রেফারিং নিয়ে আর কোনও সমস্যা নেই। বহু বছর আগে এক রাতে স্ত্রীকে নিজের সত্ত্বার কথা জানিয়েছিলেন নিক। স্ত্রী তাঁকে বুঝেছিলেন। তার পর থেকে স্ত্রী বরাবর তাঁর পাশে থেকেছেন বলে জানালেন নিক।