নিজস্ব প্রতিবেদন: এক সময় তাঁরা ছিলেন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। ময়দানি লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমিও কেউ কাউকে ছেড়ে দিতেন না। লড়াই হত সমানে সমানে। কথা বলছি, টেস্ট ক্রিকেটের সম্রাট সুনীল গাওয়াসকর এবং বিশ্ব ক্রিকেটের সুইং জাদুকর ওয়াসিম আক্রামকে নিয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


(একই ফ্রেমে ইমরান-আক্রাম-ওয়াকার-গাওয়াসকর)


এখন তাঁরা দুজনেই বন্ধু। কমেন্ট্রি বক্স হোক বা ২২ গজ- আর কোনও লড়াই-ই নেই তাঁদের। বলা যেতে পারে তাঁরা এখন ক্রিকেট সতীর্থ।  কিন্তু অবসরের পরও  দুই দেশের ক্রিকেট যুদ্ধে কিন্তু তাঁরা বরাবরই থেকেছেন ‘চিরকালীন প্রতিদ্বন্দ্বী’। তবে এবারের এশিয়া কাপ যেন উলটপুরাণ। আরব আমির শাহি থেকে এশিয়া কাপ আসবে দিল্লিতে, না কি যাবে ইসলামাবাদে, দুই কিংবদন্তির উত্তর শুনলে অনেকে ঘাবড়েও যেতে পারেন। অনেকে আবার ‘ফেক নিউজ’ বলে এড়িয়েও যেতে পারেন। কারণ, এবারের এশিয়া কাপের ভবিষ্যদ্বাণী করতে গিয়ে ওয়াসিম আক্রাম বলছেন, “খাতায় কলমে এগিয়ে ভারত”। আর গাওয়াসকরের কথায়, “গতবারের হার (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল) মনে শঙ্কা তৈরি করেছে”। তাই, ‘ভারতই জিতবেই’ – এই কথাটা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না। উল্টে পাকিস্তানকেই ফেভারিট মানছেন সুনীল গাওয়াসকর ।



একই সঙ্গে এই সিরিজে বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিকেও ভারতের জন্য ‘সঙ্কটময়’ বলেই মনে করছেন তিনি। ইন্ডিয়া টুডে-কে তিনি জানিয়েছেন, “বিরাটের না থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা একেবারেই নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত। হয়ত বিরাট নিজেও বিশ্রাম নিতে চেয়েছে। শারীরিক ক্লান্তির থেকেও মানসিক ক্লান্তির কথা ভেবেই হয়ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডে যা হল, তারপর বিরাটকে বিশ্রাম দিয়ে বিষয়টাকে লঘু করে দেওয়াই হয়ত তাদের কাছে শ্রেয় মনে হয়েছে ”।


আরও পড়ুন- কোহলিকে বাদ দিলেও ভারত ভাল দল: সরফরজ আহমেদ 


অন্যদিকে, ওয়াসিম আক্রাম মনে করেন, বিরাট না থাকায় সুবিধা পাবে পাকিস্তানি বোলাররা। তাঁর বক্তব্য, “যখন গাওয়াসকর, আজহার, সচিন খেলত না, আমি আত্মবিশ্বাসের শৃঙ্গে থাকতাম। আমার মনে হয়, বিরাট না থাকায় একই রকমভাবে আত্মবিশ্বাসী হবে পাকিস্তানি বোলাররাও”। একই সঙ্গে বিরাট কোহলিকে বিশ্রাম দেওয়ার বিষয়টি-কেও সমর্থন করেছেন ওয়াসিম আক্রাম।