এশিয়াডে সোনা জয়ী Fortunato Franco প্রয়াত, চুটিয়ে খেলেছেন পিকে-চুনী-বলরামের সঙ্গে
প্রয়াত ফরচুনাতো ফ্র্যাঙ্কো। সোমবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী প্রাক্তন ফুটবলার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রয়াত ফরচুনাতো ফ্র্যাঙ্কো (Fortunato Franco)। সোমবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ভারতীয় ফুটবলার। মৃত্যুকালে ৮৪ বছর বয়স হয়েছিল গোয়ানিজ এই মিডফিল্ডারের। যদিও ফ্র্যাঙ্কোর প্রয়াণের কারণ এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি, তবে করোনাক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শেষ কয়েকদিন আইসিইউ-তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন গোয়ার একমাত্র অলিম্পিয়ান। স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে রেখে গেলেন ফ্রাঙ্কো। এদিন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ফ্রাঙ্কোর মৃত্যুবার্তা টুইট করে। পাশাপাশি এআইএফএফ সভাপতি প্রফুল প্যাটেলও শোকজ্ঞাপন করেছেন টুইটারে। লিখেছেন, ভারতীয় ফুটবলে ফ্রাঙ্কোর অবদান অনস্বীকার্য।
আরও পড়ুন: COVID-19: 'খুব তাড়াতাড়ি চলে গেছ মা', মাতৃহারা হয়ে শোকস্তব্ধ গোলকিপার Arindam Bhattacharya
ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণালী অধ্যায় লিখতে গেলে চলে আসবে ফ্রাঙ্কোর নাম। ১৯৬০-৬৪ সালে ভারতীয় ফুটবল ফ্যানেরা দেখেছিলেন ঠিক কী মানের প্লেয়ার ছিলেন ফ্রাঙ্কো। কিংবদন্তি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামী, তুলসীদাস বলরাম ও জার্নেল সিংয়ের সঙ্গে চুটিয়ে মাঠ শাসন করেছিলেন ফ্রাঙ্কো। হাফ-ব্যাক হিসাবে শুরু করলেও মিডফিল্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। প্রশান্ত সিংয়ের সঙ্গে মিডফিল্ডে দুরন্ত যুগলবন্দি ছিল ফ্রাঙ্কোর। ১৯৬২ সালে ভারত এশিয়াডে সোনা ছিনিয়ে এনেছিল। দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-১ হারিয়ে ইতিহাস লেখা ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন ফ্রাঙ্কো। এছাড়াও ফ্রাঙ্কো রোম অলিম্পিক্সে (১৯৬০) ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন। যদিও কোনও ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ১৯৬২ সালে এশিয়ান কাপে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা ভারতীয় দলেও ছিলেন ফ্রাঙ্কো। ১৯৬৪ ও ১৯৬৫ সালে মার্ডেকা কাপে রুপো ও ব্রোঞ্জ জয়ী ভারতীয় দলে ছিলেন ফ্রাঙ্কো। ভারতের জার্সিতে ২৬ ম্যাচ খেলেন ফ্রাঙ্কো। ১৯৫৯ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এরনাকুলামে এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার খেলেছিল ভারত। ফ্রাঙ্কো ওই ম্যাচে অভিষেক করেন।